ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে এবার আপিল করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।
এর আগে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে শামীমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন আজাদ। এই অভিযোগে আজাদ শামীমের নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্টের নম্বরসহ আবেদনটি করেন।
ফরিদপুর-৩ আসনে (সদর) ৫টি জাতীয় নির্বাচনের পর প্রার্থী পাল্টেছে ক্ষমতাসীন দলের। মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে। সেই প্রার্থিতা বৈধও ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে আ. লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ
নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদ।
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক- এমন একটি অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি।
এবার আওয়ামী লীগ নেতার আবেদনে এ কে আজাদের হলফনামার দৈত্ব নাগরিকত্বের তথ্য গোপন, সম্পদবিবরণী ও নির্ভরশীলদের বিষয়ে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শামীম বলেন, ‘আমার আইনজীবী সব বিষয় তুলে ধরেছেন। নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সব ‘অসত্য তথ্য’, দলিলাদি দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবে আশা করি।’
এ বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বাইরে আমি কোনো দেশের নাগরিক নই, কখনো নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করিনি। এমনকি আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের বাইরে নেই। এছাড়া, হলফনামায় আমি যে তথ্য দিয়েছি সেটি শতভাগ সঠিক।’