তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য ফিনল্যান্ড এবং অন্যান্য ইইউ সদস্য দেশগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেখা হাভেস্তোর সাথে ভার্চুয়ালি বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
দুই মন্ত্রী ডাবল ট্যাক্সেস সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে কাজ শুরু করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী যথাযথভাবে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর, বিনিয়োগ সংলাপ এবং সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের মাধ্যমে পালন করা উচিত।
আরও পড়ুন: ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব
এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের সময় দুই মন্ত্রী ২০১৯ সালের জুনে হেলসিঙ্কিতে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট শাউলি নিনিস্তোর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
দুই মন্ত্রী উচ্চ-পর্যায়ের সফর এবং কূটনৈতিক কনসালটেশন নিয়মিত বিনিময়ের উপর জোর দেন।
ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসির থেকে প্রত্যাশিত উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উভয়পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সংলাপ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে আগ্রহী ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো
দুই মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত অর্থমন্ত্রীদের জোটের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের সহ সভাপতিত্বে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাভেস্তো ফিনল্যান্ড সমাজে বাংলাদেশ প্রবাসীর অবদানের প্রশংসা করেন।
দুই মন্ত্রী মানব যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জ্ঞানের অংশীদারিত্বের বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হন।
এ সময় ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলামও বৈঠকে যোগ দেন।