ফিনল্যান্ড
সুপারশী: যে দ্বীপে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
বিশ্ব পরিব্রাজকদের শীর্ষ সারিতে নারীদের অবস্থান এখন আর নতুন কোনও ব্যাপার নয়। গহীন অরণ্য, আকাশচুম্বী পর্বতশৃঙ্গ, এমনকি সাগরের মাঝে জেগে থাকা প্রবাল দ্বীপেও নারীরা এখন সাবলীলভাবে বিচরণ করছে। নারীদের ভ্রমণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে নিরাপত্তা। ভ্রমণকালে পুরুষদের অযাচিত আচরণের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের ভ্রমণ হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এমন রূঢ় বাস্তবতার মাঝে অনেক নারী হয়তো এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে চান যেটা হবে পুরুষের ছায়া মুক্ত। ‘সুপারশী’ দ্বীপের গল্পটা ভ্রমণপিপাসু নারীদের কাছে কিছুটা স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে আসলেই এমন একটি দ্বীপ আছে, যেটি শুধু নারীদের এবং যেখানে কোনও পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। চলুন, বিস্ময়কর এই দ্বীপটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সুপারশী দ্বীপের ভৌগলিক অবস্থান
মধ্যরাতের সূর্যের দেশ ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলবর্তী শহর রেইসবর্গ মিশে গেছে বাল্টিক সাগরে। এই রেইসবর্গ সৈকতের কাছাকাছি বাল্টিক সাগরের বুকে রেইসবর্গ দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপ ফিওর্ড্স্কার। ৮ দশমিক ৪ একরের এই ভূ-খন্ডটি রাজধানী হেলসিন্কির অন্তর্গত রেইসবর্গ শহরের অংশ। এই ফিওর্ড্স্কারই ২০১৮ সাল থেকে সুপারশী নাম নিয়ে বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র নারীদের দ্বীপের মর্যাদা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
সুপারশী উদ্যোগের পটভূমি
জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী উদ্যোক্তা ক্রিস্টিনা রথ ২০১৭ সালে ক্রয় করেন ফিওর্ড্স্কার দ্বীপটি। এই রথ ফোর্বসের দ্রুত সফলতা অর্জনকারী শীর্ষ ১০ নারী উদ্যোক্তাদের একজন। ২০১৬ সালে তিনি তার প্রযুক্তি পরামর্শদানকারী সংস্থা ‘ম্যাটিসিয়া কন্সাল্ট্যান্ট্স’ ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য ৭১৩ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৩ বাংলাদেশি টাকা)।
ফিওর্ড্স্কারের মালিক হওয়ার পর রথ দ্বীপের নামকরণ করেন ‘সুপারশী’। তার উদ্দেশ্য ছিল মূলত নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বের নানান পেশাজীবী নারীদের সান্নিধ্য পাওয়ার। আর এরই অঙ্কুরে জন্ম নেয় সুপারশী।
শুরু থেকেই রথ দ্বীপে শুধুমাত্র নারীদের প্রবেশের রীতি চালু রেখেছিলেন। দ্বীপের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন স্থাপনের জন্য পুরুষ নির্মাণ শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার ছিল। এছাড়া বিশেষ অনুমতি ছিল রথের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক পুরুষদের।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
বেশ কয়েকটি মিডিয়াতে নিজের এই উদ্যোগের কথা শেয়ার করেন রথ। মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যাওয়ায়, দ্বীপের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই বুকিং-এর অনুরোধ আসতে শুরু করে। গোটা বিশ্ব থেকে ৮ হাজারেরও বেশি নারী পর্যটকের আবেদন এসেছিল। এর মধ্য থেকে রথ ১৫০ জনের ভিডিও সাক্ষাৎকার নেন।
অবশেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুন পুরো একটি দ্বীপ রিসোর্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘সুপারশী’।
২০২৩ সালের শেষের দিকে শিপিং নির্বাহী কর্মকর্তা ডেয়ান মিহভ দ্বীপটি কিনে নেন এক মিলিয়ন ইউরোতে। মূল্যটি প্রায় ১১ কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০ টাকার (১ ইউরো = ১১৯ দশমিক ১৫ বাংলাদেশি টাকা) সমান। মালিকানা পরিবর্তনের পরেও চিত্তবিনোদনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে প্রস্তুত, পুতিনের জন্য ধাক্কা
ফিনল্যান্ড ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে। যা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের ফলে মহাদেশের ঐতিহাসিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাশিয়াকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।
মঙ্গলবার নথি হস্তান্তরের মাধ্যমে নর্ডিক জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা জোটে প্রবেশ করেছে।এতে রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত দ্বিগুণ হয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ ইউরোপের নিরাপত্তা ভৌগলিক একটি বড় পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েতদের কাছে পরাজয়ের পর দেশটি নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসন মস্কোর প্রতিবেশীদের মধ্যে ভয়ের কাঁপুনি ওঠার কয়েক মাস পর দেশটির নেতারা জোটে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যতদিন দরকার ততদিন সাহায্য করবে ন্যাটো
এই পদক্ষেপটি পুতিনের জন্য একটি কৌশলগত এবং রাজনৈতিক আঘাত। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবং আংশিকভাবে এটিকে আক্রমণের ন্যায্যতা হিসাবে ব্যবহার করেছেন। জোট বলেছে যে তারা মস্কোর জন্য কোনো হুমকি নয়।
রাশিয়া সতর্ক করেছে যে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় এটিকে ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য করা হবে। এটি সতর্ক করেছে যে এটি ফিনল্যান্ডের কাছে বাহিনীকে শক্তিশালী করবে যদি ন্যাটো তার ৩১তম সদস্য দেশটিতে অতিরিক্ত সেনা বা সরঞ্জাম পাঠায়।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জোট এড়িয়ে যাওয়া প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও আবেদন করেছে। কিন্তু ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে প্রক্রিয়াটি আটকে আছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ আনুষ্ঠানিক হয়ে ওঠে যখন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে তার যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নথি হস্তান্তর করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট হলো সদস্যপদ সংক্রান্ত ন্যাটো পাঠ্যের ভান্ডার।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
ন্যাটোর সদস্যপদ: ফিনল্যান্ডকে হ্যাঁ, সুইডেনের প্রতি নাখোশ এরদোয়ান
ন্যাটের সদস্যপদ পেতে ফিনল্যান্ডকে সমর্থন করতে তুরস্ক এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
অন্যদিকে ইউরোপের আরেকটি দেশ সুইডেনের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নিবেন না তুরস্ক।কারণ সম্প্রতি সুইডেনে তুরস্ক বিরোধী বিক্ষোভ যাকে ইসলামফোবিয়া হিসেবে বর্ননা করে ইউরোপের দেশটির নাগরিককের তুরস্কে সফরে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে গত সপ্তাহান্তে বিক্ষোভের পর এক বিধর্মী পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো এবং কুর্দিপন্থী দলগুলো তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর শনিবার ভ্রমণ সতর্কীকরণ দেয়া হয়। এই ঘটনাগুলো সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ অনুমোদন করতে তুরস্কের অস্বীকৃতিকে আরও শক্ত করেছে।
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড সামরিক জোটের সদস্য হওয়ার জন্য যৌথভাবে আবেদন করেছে।
রবিবার প্রকাশিত একটি ইভেন্টের পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিওতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তুরস্ক শুধুমাত্র ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে স্বাক্ষর করতে পারে।
বিলেসিক প্রদেশে তরুণদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, যদি প্রয়োজন হয় আমরা ফিনল্যান্ড সম্পর্কে একটি ভিন্ন বার্তা দিতে পারি। আমরা যখন ফিনল্যান্ড সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা দেবো, তখন সুইডেন হতবাক হয়ে যাবে।’
তুরস্ক অভিযোগ করে বলেছে যে কুর্দি গোষ্ঠীগুলোসহ সন্ত্রাসী সংগঠন বা অস্তিত্বের হুমকি হিসাবে বিবেচনা করা গোষ্ঠীগুলোর প্রতি খুব নম্রতা দেখায় স্টকহোম সরকার।
ন্যাটোর নতুন সদস্যদের যোগ করার জন্য তার বিদ্যমান সদস্যদের সর্বসম্মত অনুমোদনের প্রয়োজন, কিন্তু এরদোয়ানের সরকার বলেছে যে দেশটি তার শর্ত পূরণ করলেই তারা সুইডেনকে সমর্থন দিতে রাজি হবে।
নাগরিকদের জন্য তার ভ্রমণ সতর্কতায় তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত গোষ্ঠী‘ দ্বারা তুর্কি-বিরোধী বিক্ষোভের বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তারা এক দশক ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। তুরস্কের পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পিকেকেকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
কুর্দিপন্থী গোষ্ঠীগুলো তাদের ন্যাটো সদস্যপদে তুরস্কের অনুমোদন পেতে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের তাদের দেশে পিকেকে-এর কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে সংগঠিত সুইডেনে বিক্ষোভের সময় পিকেকে এবং এর সহযোগীদের পতাকা উড়িয়েছে।
এরদোয়ান বলেছেন যে তিনি সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি যদি সত্যিই ন্যাটোতে প্রবেশ করতে চান তবে আপনি এই সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর করবেন। আপনি যদি এই সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর না করেন, তাহলে দুঃখিত।’
তিনি বলেছিলেন যে তুরস্ক সুইডেনের কাছ থেকে প্রত্যার্পণ চায় এমন ১২০ জনের একটি তালিকা সরবরাহ করেছে।
জুনে স্বাক্ষরিত সমঝোতায় একটি দাবি ছিল যা নর্ডিক দেশগুলোর যৌথ আবেদনে তুরস্কের ভেটোর কারণে বাদ পড়ে যায়।
ডিসেম্বরে সুইডিশ সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে দেশটি গুলেনের সঙ্গে যুক্ত একটি সংবাদপত্রের প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক বুলেন্ট কেনেসকে হস্তান্তর করতে পারে না,যা তুরস্ককে ক্ষুব্ধ করে।
তুরস্ক ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের চেষ্টার জন্য অভিযুক্ত মুসলিম ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেনের কিছু অনুসারী কথিত পিকেকে জঙ্গিদের প্রত্যার্পণের দাবি করছে।
তুরস্ক স্টকহোমে গত সপ্তাহান্তে উগ্র ডানপন্থী কর্মী রাসমাস পালুদানের কুরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, যা তিনি শুক্রবার কোপেনহেগেনে পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। ডানপন্থী আরেক কর্মী হেগে কুরআনের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর আঙ্কারা ডাচ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
গত সপ্তাহের বিক্ষোভের পর এরদোগান সুইডেনকে সামরিক জোটের সদস্যপদ পাওয়ার দৌড়ে সমর্থন আশা না করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। তুরস্ক ব্রাসেলসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। যেখানে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং ইউরোপে বিক্ষোভ এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে তারা জেনোফোবিক বা বর্ণবাদী আক্রমণের সম্মুখীন হলে তাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া উচিত।
একটি পৃথক পরামর্শে মন্ত্রণালয়টি তুর্কি নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেমফিস, টেনেসি, নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি টায়ার নিকোলসের পুলিশ কর্তৃক মারাত্মক মারধরের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে শনিবার তুরস্ক তার ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার আগে নর্ডিক দেশগুলো পৃথকভাবে তুরস্কের জন্য সর্বশেষ ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করেছিল। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন তুরস্কে আসা তাদের নাগরিকদের বড় জমায়েত এড়াতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ওয়েবসাইটে একটি বার্তায় বলেছে যে আঙ্কারায় সুইডেনের দূতাবাস জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে এবং ইস্তাম্বুলে দেশটির কনস্যুলেট জেনারেলের দর্শনার্থীদের ‘সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
স্টকহোমে গত সপ্তাহান্তের ঘটনার পর তুরস্কে শুরু হওয়া পাল্টা প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করে সুইডেনের মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা তুরস্কে সুইডিশদের সচেতন করতে চাই যে আরও প্রতিবাদ হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকার নিন্দা
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেলা মারিন-এর শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
ফিনল্যান্ডের এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হতে পারে।
রিতভা বলেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো বিদ্রোহের অনুমতি দিই না।’
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, তার সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং সে সময় ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে।
বাংলাদেশে প্রচুর হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের (বিদেশ) নীতি হল-সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার আমদানি করলেও এখন শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আরও খাদ্য উৎপাদনের জন্য কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পশ্চিমা হস্তক্ষেপের কারণে সত্যিকারের কূটনীতির কোনো জায়গা নেই: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে দেশে আসার পথে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০.৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। ফিনল্যান্ডে দুই দিনের বিরতির পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছেছিলেন।
পড়ুন: ওয়াশিংটন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সরকার, দেশ ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের বাগানে একটি বেঞ্চ উন্মোচন করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে যান।
ওয়াশিংটনে থাকার সময় শেখ হাসিনা নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ হাউস’ উদ্বোধন করেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরে শুক্রবার ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শুরুতে তিনি ফিনল্যান্ডে অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিশেষ ফ্লাইট সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বিমানটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার সময় হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮তম বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে বিকাল ৪টায় (হেলসিঙ্কি সময়) হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টায় (স্থানীয় সময়) অবতরণের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯-২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে অবস্থান করবেন।
২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিউইর্য়ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেখ হাসিনা ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে এবং পৌনে ৩টায় বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি বিকাল ৪টায় সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। বিকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিক্সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং বিকাল ৪টায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ব্যবসায়িক গোলটেবিলে অংশ নেবেন।
২২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) হাসিনা তিনটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সকাল ৯টায় ডারবান ডিক্লারেশন এবং কর্মসূচী গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী, ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১ ৯ সামিট এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিকাল ৩টায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াকে আসামি করতে চেয়েছিলাম: শেখ হাসিনা
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচী: সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসাবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুইয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং রাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হাসিনা সকাল ৮টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ফিনল্যান্ডে কিছুক্ষণ বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরে শুক্রবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূচী অনুযায়ী ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর দুদিনের যাত্রা বিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯-২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউইয়র্কে সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসি সফর করবেন। সেখানে তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা এবং ফিনল্যান্ডে যাত্রা বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
ফিনল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য বিরতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেন, তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে ৩ টায় মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবেন।
২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে।
এর আগে তিনি জাতিসংঘে ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন এবং এবার তিনি ১৮ বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহালে খোলা চিঠি
ফিনল্যান্ডকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে ফিনল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব
বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ সদ্বব্যবহারে ব্যবাসায়ী পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি ফিনিশ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও তাদের কারখানা গড়ে তুলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও পণ্য রপ্তানি করতে পারে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে আগ্রহী ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো
বাংলাদেশের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো।