ফিনল্যান্ড
জোড়া গোলে শততম ম্যাচ রাঙালেন কেইন
ইংল্যান্ডের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নেমে অসাধারণ হ্যারি কেইনে মাতল ইংলিশ সমর্থকরা। ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ইংলিশ অধিনায়ক।
নেশন্স লিগের ‘বি’ লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের দুটি গোলই করেছেন হ্যারি কেইন।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে শত ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ উপলক্ষে কেইনকে বিশেষ সম্মাননা জানায় ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ম্যাচে নেমেই জোড়া গোল করেন এই তারকা স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু
গোল পেতে এদিন মুখিয়ে থাকলেও বারবার হতাশ হতে হয়েছে কেইনকে। ম্যাচের ২১তম মিনিটে অসাধারণ দক্ষতায় কেইনের নিশ্চিত একটি গোল ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফিনিশ গোলরক্ষক লুকাশ রাদাস্তকি। তার দুই মিনিট পর জালে বল পাঠান ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
ফলে স্কোরলাইন গোলশূন্য রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
৩ মাস আগে
ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
বাস্তবধর্মী শিক্ষাব্যবস্থা, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান এবং সুরক্ষিত আর্থ-সামাজিক অবস্থা সামগ্রিকভাবে একটি দেশে বজায় রাখে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ। এর ধারাবাহিকতায় উন্নত হয় সাধারণ জনজীবন; আর এই উন্নত জীবন ব্যবস্থা দেশটিকে অভিবাসনের উপযুক্ত গন্তব্যে পরিণত করে। বিগত কয়েক দশক জুড়ে এমন কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছে ইউরোপের দেশগুলো। অধ্যয়ন ও জীবনযাত্রার খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় দেশগুলোতে ক্যারিয়ার গঠন করছে উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সেঙ্গেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড। এর নেপথ্যে রয়েছে দেশটির বিশ্ব সেরা বিদ্যাপিঠ এবং বহুজাতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কাজের পর্যাপ্ত সুযোগ। চলুন, ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার আবেদন, অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন ফিনল্যান্ড উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্র পৃথিবীর সব থেকে নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে একটি। ২৬ দশমিক ২ গ্লোবাল ক্রাইম ইন্ডেক্স নিয়ে শীর্ষ সুরক্ষিত দেশগুলোর তালিকায় এর অবস্থান ২৩ নম্বরে। এছাড়া বিশ্বের ১৩তম এই শান্তিপূর্ণ দেশটির গ্লোবাল পিস ইন্ডেক্স ১ দশমিক ৪৭৪।
নিরাপদ পরিবেশের পাশাপাশি ফিনল্যান্ডের বিদ্যাপিঠগুলোর খ্যাতি শুধু ইউরোপেই নয়, গোটা বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত। কিউএস র্যাংকিং-এ ১০৯তম অবস্থানে থাকা ফিনিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম অ্যাল্টো ইউনিভার্সিটি। ১১৫তম র্যাংকটি ধরে রেখেছে ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি। ইউনিভার্সিটি অব অউলুর অবস্থান ৩১৩ এবং ইউনিভার্সিটি অব তুর্কুর অবস্থান ৩১৫ নম্বরে। ল্যাপেনরান্ত ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি রয়েছে ৩৫১তম র্যাংকে।
আরো পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আবেদনের পূর্বশর্ত
সেঙ্গেনভুক্ত এই দেশের ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, হাই-স্কুল ডিপ্লোমা বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজন হবে স্নাতক ডিগ্রি। প্রাসঙ্গিক একাডেমিক বিষয়ে সম্পন্ন ক্রেডিট পয়েন্ট ইসিটিএসেরে (ইউরোপিয়ান ক্রেডিট ট্রান্সফার অ্যান্ড অ্যাক্যুমুলেশন সিস্টেম) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জিম্যাট বা জিআরই স্কোর চাইতে পারে। ইউএএস (ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্সের জন্য আলাদাভাবে দরকার হবে ২ বছরের প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা। ডক্টরাল প্রোগ্রামগুলোর জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি গবেষণা প্রস্তাব বা প্রকাশনা থাকতে হবে।
এছাড়া কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে প্রবেশিকা পরীক্ষা, এসএটি পরীক্ষা বা অনলাইন ইন্টারভিউ নেওয়া হতে পারে।
ফিনল্যান্ডের সাধারণ ভাষা ফিনিশ ও সুইডিশ হলেও এখানে ব্যাপক হারে ইংরেজিতে যোগাযোগের প্রচলন আছে। অধিকাংশ ফিনিশরাই বিশেষ করে তরুণরা খুব ভালো ইংরেজি বলতে পারে। তাই আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করে স্থানীয় ভাষা জানার দরকার পড়ে না। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য সাধারণত আইইএলটিএস বা টিওইএফএল-এর ফলাফলকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ফিনল্যান্ডের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
ফিনল্যান্ডসহ গোটা ইউরোপে বহুল সমাদৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
* আল্টো ইউনিভার্সিটি* ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি* ইউনিভার্সিটি অব অউলু* ইউনিভার্সিটি অব তুর্কু* ল্যাপেনরান্ত ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি* লুট ইউনিভার্সিটি* ট্যাম্পেরে ইউনিভার্সিটি* ইউনিভার্সিটি অব জিভাস্কিলা* ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড* অ্যাবো একাডেমি ইউনিভার্সিটি* ইউনিভার্সিটি অব ভাসা
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
ফিনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো:
* কম্পিউটার সায়েন্স ও আইটি* ব্যবসায় প্রশাসন* সাস্টেইনেবল ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি* রিনিউয়েবল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং* আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশন অ্যান্ড কেয়ার* ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট* ডিজাইন ও মিডিয়া
আরো পড়ুন: ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
ফিনল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
ইউরোপের এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত দুটি মৌসুমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়। অটাম সেমিস্টার যেটি শুরু হয় আগস্ট বা সেপ্টেম্বর থেকে এবং স্প্রিং সেমিস্টার যার শুরু হয় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। উভয় ক্ষেত্রে ভর্তির সময়সীমা সাধারণত ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত থাকে।
এখানে মূলত তিনটি উপায়ে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন আবেদন করতে পারে।
* ইউএএসগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে* অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে* স্টাডিইনফোর ওয়েবসাইটে (https://opintopolku.fi/konfo/en/)
ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউএএসগুলোর রয়েছে নিজস্ব পদ্ধতি, মানদণ্ড ও নথির তালিকা। তবে ইউনিভার্সিটিগুলো সাধারণত দুটি উপায়ে আবেদন গ্রহণ করে।
*যৌথ আবেদন
* পৃথক আবেদন। যৌথ আবেদনে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৬টি প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়। আর পৃথক আবেদনটি হচ্ছে চিরাচরিত পদ্ধতি, যেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে শুধু একটি প্রোগ্রামে আবেদনের সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাধারণত যে নথিগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়, সেগুলো হলো:
* সম্পূর্ণ রূপে পূরণ করা আবেদনপত্র* একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও ডিপ্লোমার প্রত্যয়িত কপি* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (আইইএলটিএস বা টিওইএফএল)* পাসপোর্টের কপি
ইউএএস-এ আবেদনের ক্ষেত্রে
*কর্মসংস্থানের প্রমাণপত্র*প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আবেদন*মাস্টার্স বা ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য
*সিভি* মোটিভেশন লেটার বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট* রেফারেন্স লেটার (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)* প্রকাশনা (ডক্টরেটের ক্ষেত্রে)* ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সনদ ও পাসপোর্ট ছাড়া বাকি সমস্ত নথি যদি বাংলায় হয়, তাহলে সেগুলোর অফিসিয়াল অনূদিত সংস্করণ সংযুক্ত করতে হবে।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
ফিনল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রথমে ৯০ দিনের অধিক সময় ফিনল্যান্ডে থাকার জন্য প্রদান করা আবাসিক অনুমোদনের আবেদন করতে হয়। এতে অধ্যয়নের পুরোটা সময়ে দেশটিতে থাকাসহ খণ্ডকালীন চাকরির অনুমতি পাওয়া যায়।
স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য ফিনল্যান্ডে আসতে হলে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য আবাসিক অনুমোদন নিতে হয়। এক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
আবাসিক অনুমোদন পাওয়ার সাপেক্ষে ডি টাইপ ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এই ভিসা শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে ফিনল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়। আবাসিক অনুমতি মঞ্জুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ভিসার আবেদন শুরু করা উচিত। এতে করে পার্মিট ইস্যূ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিনল্যান্ড প্রবেশ করে সেখান থেকে বসবাসের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা যায়। অবশ্য ডি ভিসাসহ বসবাসের অনুমতি নিয়ে ফিনল্যান্ডে প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ ১০০ দিন মেয়াদ থাকে।
আবাসিক অনুমোদনের জন্য সরাসরি এন্টার ফিনল্যান্ডের ওয়েবসাইটে (https://enterfinland.fi/eServices/account/emailregistration) অ্যাকাউন্ট তৈরির মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করা যাবে। অনলাইনে জমা দেওয়ার পর পূরণ করা ফর্ম ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে হাতে স্বাক্ষর করতে হবে। অতঃপর ভিসার অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে একত্রিত করে দূতাবাসে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণসহ দূতাবাসে জমা দিতে যে সমস্ত নথি প্রস্তুত করা প্রয়োজন, সেগুলো হলো:
* ফিনিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির অফার লেটার* বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা এবং ফিনল্যান্ডে পৌঁছার দিন থেকে অতিরিক্ত ৬ মাস পর্যন্ত মেয়াদ সম্পন্ন)* আয়ের প্রমাণপত্র (চাকরির সনদ)* আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ। শিক্ষাবর্ষের প্রথম বছরের আর্থিক সঙ্কুলানের জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫৬০ ইউরো বা প্রায় ৭১ হাজার ৮৬০ টাকা (১ ইউরো = ১২৮ দশমিক ৩২ বাংলাদেশি টাকা)। অর্থাৎ বার্ষিক ৬ হাজার ৭২০ ইউরোর (প্রায় ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩১১ টাকা) ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদর্শন করতে হবে।* স্কলারশিপ বা স্পন্সর পেয়ে থাকলে তার প্রমাণপত্র* স্বাস্থ্য বিমার শংসাপত্র: অধ্যয়নের সময়সীমা ২ বছরের বেশি হলে ১ লাখ ২০ হাজার ইউরো (১ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৫ টাকা)। আর ২ বছরের কম হলে ৪০ হাজার ইউরো (৫১ লাখ ৩২ হাজার ৮০২ টাকা)।* এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে অতিরিক্ত সংযুক্তি চাওয়া হতে পারে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
দূতাবাসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং
এন্টার ফিনল্যান্ড-এ আবেদন সম্পন্ন করার পর প্রথম কাজ হচ্ছে ভারতে অবস্থিত ফিনল্যান্ড দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া। এর জন্য https://services.vfsglobal.com/ind/en/frp/register লিংকে নিবন্ধনের মাধ্যমে অনলাইন বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। বুকিং দেওয়ার পর নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময়ে সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষমাণা তালিকা প্রকাশ করা হয়। অতঃপর দিনক্ষণ অনুযায়ী ভিসার আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্র মূল কপিসহ দূতাবাসে উপস্থিত হতে হয়।
দূতাবাসের ঠিকানা: ই-৩, ন্যায়া মার্গ, চাণক্যপুরী, নয়া দিল্লি, দিল্লি-১১০০২১, ভারত।
দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলাসহ প্রার্থীর বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়। সাক্ষাৎকার শেষে আবেদন ফিনিশ ইমিগ্রেশন সার্ভিসে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
আবাসিক অনুমোদন প্রাপ্তি
ফিনিশ অভিবাসন সার্ভিসে আবেদন যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খামে (ডিসিশন এনভেলপ) করে দূতাবাসে পাঠানো হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রার্থী ই-মেইল এবং এন্টার ফিনল্যান্ডে তার অ্যাকাউন্ট থেকেও দেখতে পারেন। আর খামটি সংগ্রহের জন্য সশরীরে দূতাবাসে উপস্থিত হতে হয়।
সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক হওয়া মানেই এবার শিগগিরই ডি ভিসার জন্য আবেদন করার পালা। সাধারণত ২ সপ্তাহের মধ্যে ভিসা প্রস্তুত হয়ে যায়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ভিসা প্রাপ্তির পর ফিনল্যান্ডে প্রবেশ করে আবাসিক অনুমোদন কার্ড সংগ্রহ করা যেতে পারে। মূলত এই অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ৬ মাস থেকে শুরু করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ৯ মাসও লেগে যেতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত খাম প্রাপ্তির পর কার্ড তৈরি হতে সময় লাগে ২ সপ্তাহ। এই কার্ড সংগ্রহের সময় বৈধ পাসপোর্টটি অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের আনুষঙ্গিক খরচ
অনলাইনে রেসিডেন্স পার্মিটের আবেদন ফি বা পার্মিটের প্রক্রিয়াকরণ ফি ৩৫০ ইউরো বা প্রায় ৪৪ হাজার ৯১২ টাকা। ডি-টাইপ ভিসার ফি ৯৫ ইউরো (প্রায় ১২ হাজার ১৯১ টাকা)। দূতাবাসের তথা ভিএফএস সার্ভিস চার্জ ৭০ ইউরো (প্রায় ৮ হাজার ৯৮৩ টাকা)।
প্রতিটা ফি অনলাইনে ভিসা বা মাস্টার কার্ড দিয়ে অথবা দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের সময়ে পরিশোধ করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, অবলাইনে বা কাগুজে আবেদনের ক্ষেত্রে ফি এবং প্রক্রিয়াকরণ সময় উভয়ই তুলনামূলকভাবে বেশি।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ফিনল্যান্ডে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার সম্ভাব্য খরচ
স্নাতক অধ্যয়নে প্রতি শিক্ষাবর্ষের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৪ থেকে ১২ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৮১ থেকে ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪১ টাকার সমান। আর মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য খরচ হতে পারে ৮ থেকে ১৮ হাজার ইউরো (প্রায় ১০ লাখ ২৬ হাজার ৫৬১ থেকে ২৩ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ টাকা)।
পিএইচডির ক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সর করা হয়, তাই দেশি-বিদেশি সব শিক্ষার্থীর জন্য টিউশন ফ্রি থাকে। এখানে গবেষণার পাশাপাশি আবাসনের ব্যয়ভারও বহন করা হয়।
ফিনল্যান্ডে বাড়ি ভাড়া বাবদ গড়ে খরচ হতে পারে মাসে ৩ থেকে ৭০০ ইউরো (প্রায় ৩৮ হাজার ৪৯৬ থেকে ৮৯ হাজার ৮২৪ টাকা)। প্রায় ৬০ শতাংশ বিদেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নকালে বিভিন্ন শহরের ছাত্রাবাসগুলোতে বসবাস করে। ডর্ম নামের এই আবাসনগুলোর মাসিক ভাড়া প্রায় ২৪০ থেকে ৪২০ ইউরো ( প্রায় ৩০ হাজার ৭৯৭ থেকে ৫৩ হাজার ৮৯৫ টাকা) পর্যন্ত।
নিত্য দিনের খাবারের জন্য ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত প্রতি মাসে ১৮০ থেকে ২৪০ ইউরো (প্রায় ২৩ হাজার ৯৮ থেকে ৩০ হাজার ৭৯৭ টাকা) খরচ করে থাকে। প্রতি মাসে যাতায়াত বাবদ খরচ হয় প্রায় ৬০ থেকে ৭৮ ইউরো (প্রায় ৭ হাজার ৭০০ থেকে ১০ হাজার ৯ টাকা)। বিদ্যুৎ ও পানিসহ নানা ইউটিলিটির জন্য মাসিক চার্জ ৮৪ থেকে ১২০ ইউরো (প্রায় ১০ হাজার ৭৭৯ থেকে ১৫ হাজার ৩৯৯ টাকা)।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ফিনল্যান্ডে স্কলারশিপের সুবিধা
হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়। তারমধ্যে ফিনল্যান্ড স্কলারশিপগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ এবং ৫ হাজার ইউরোর (প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা) বার্ষিক উপবৃত্তি। উপরন্তু, শিক্ষার্থীর একাডেমিক যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ থেকে শতভাগ অধ্যয়ন ফি মওকুফ করা হয়।
ট্যাম্পেরে ইউনিভার্সিটি ডিগ্রি স্কলারশিপ মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আংশিক থেকে সম্পূর্ণ টিউশন মওকুফ করে থাকে। গ্লোবাল স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্পূর্ণ অধ্যয়ন ফ্রি সহ ৭ হাজার ইউরো (প্রায় ৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৪১ টাকা) বার্ষিক উপবৃত্তি পাওয়া যায়।
ডক্টরাল অধ্যয়নে অধ্যয়নের সম্পূর্ণ খরচ বহনসহ মাসিক উপবৃত্তি দেয় ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড ডক্টরাল স্কলারশিপ। আল্টো ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপের আওতায় একাডেমিক যোগ্যতার ভিত্তিতে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অধ্যয়নের সুযোগ।
ইরাস্মাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার্স ডিগ্রি স্কলারশিপ যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রামে টিউশন, জীবনযাত্রার খরচ এবং ভ্রমণের খরচ বহন করে।
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ফিনল্যান্ডে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
ফিনল্যান্ডে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি পায়। এছাড়া গ্রীষ্মের ছুটির সময় কর্মঘণ্টার উপর কোনো সীমারেখা থাকে না।
কাজের প্রকৃতি এবং সেক্টর অনুসারে এই খণ্ডকালীন চাকরি থেকে আয় হয়ে থাকে ঘণ্টা প্রতি ৯ থেকে ১৩ ইউরো (প্রায় ১ হাজার ১৫৫ থেকে ১ হাজার ৬৬৯ টাকা)। রবিবার বা যেকোনো দিন সন্ধ্যার পরবর্তী শিফ্টে কাজ করলে আরও বেশি আয় হয়। তথ্য প্রযুক্তি এবং সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো সেক্টরগুলো থেকে তুলনামূলক ভালো উপার্জন আসে।
তাছাড়া বছরে দুটি পিক সিজন থাকে, যখন নিয়োগকর্তারা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি নতুন কর্মী নিয়ে থাকেন। একটি হচ্ছে ডিসেম্বরে শীতের বিরতির ঠিক আগে, আর আরেকটি হচ্ছে গ্রীষ্মের বিরতির আগ মুহূর্তে।
সব মিলিয়ে এসব আয় সেমিস্টার চলাকালে শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হয়।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অধ্যয়ন শেষে চাকরি লাভ ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ
স্নাতক শেষ হওয়ার পর চাকরি খোঁজা বা ব্যবসা শুরুর জন্য অতিরিক্ত ২ বছরের ওয়ার্ক পার্মিটের আবেদন করা যায়। মূলত ফিনল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অধ্যয়নের সময়কালসহ দেশটিতে কমপক্ষে একটানা ৪ বছর থাকতে হয়। এর মাঝে কখনও সর্বোচ্চ ৩ মাসের বেশি দেশের বাইরে থাকা যাবে না।
ইউরোপীয় দেশটির উচ্চ মানের জীবনযাত্রার জন্য সেখানে কাজের সুযোগটি কেবল আকর্ষণীয়ই নয়। বরং পর্যাপ্ত ভ্যাকেন্সি থাকায় মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য তা বেশ সহজসাধ্যও বটে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই কাজের সুযোগ করে নিতে পারে। এছাড়া ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব ও সাবলীলতা থাকায় আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাকরি পাওয়ার বিষয়টি আরও সহজ করে তোলে।
ফিনল্যান্ডের চাকরির বাজারে আধিপত্য বিস্তার করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রপাতি তৈরি, কাগজ ও কাঠের পণ্য, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও যানবাহন পরিষেবা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিনল্যান্ড তথ্য-প্রযুক্তিতে গোটা ইউরোপের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তাই আইটিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য দেশটিতে রয়েছে ক্যারিয়ারের অপার সম্ভাবনা।
পরিশিষ্ট
ইংরেজি ভাষায় অভ্যস্ত জাতি, পড়াশোনার বাজেট, স্কলারশিপ ও চাকরি; এই সব সুযোগের বিচারে ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা ক্যারিয়ার গঠনের জন্য হতে পারে একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াগুলোতে সুষ্ঠ কর্মপরিকল্পনা থাকা জরুরি। অফার লেটারের পরেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং চিকিৎসা বিমার জন্য তহবিলের ব্যবস্থাপনা। এছাড়া ফিনল্যান্ড দূতাবাসের মাধ্যমে আবাসিক অনুমোদন এবং ডি-ভিসার আবেদনের মধ্যকার সময়সীমার প্রতি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। উপরন্ত, এই প্রক্রিয়াগুলো পরবর্তীতে ফিনল্যান্ডে ডিগ্রি পরবর্তী ওয়ার্ক-পার্মিট লাভের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
৪ মাস আগে
বাংলাদেশের জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
বাংলাদেশের জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাত বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহডিভিরতা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় তার দেশের অধিক দক্ষতা রয়েছে এবং তাই তারা এ খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করতে ফিনল্যান্ড থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল শিগগিরই ঢাকায় আসবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে অবশেষে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ করতে যাচ্ছে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সমৃদ্ধির পথে যাত্রা মসৃণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে জিএসপি+ সুবিধা আরও কয়েক বছর (বৃহত্তর সময়) পেতে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ফিনল্যান্ড-গুয়াতেমালা ও আয়ারল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তার ফিনল্যান্ড সফর এবং ২০০৮ ও ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা ও কোভিড-১৯ মহামারির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সহায়তা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' শীর্ষক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে 'গুড নেইবারহুড’ সম্পর্ক অনুসরণ করছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: আপনাদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন পাশে থাকব: পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
দেশে ফিনল্যান্ড-গুয়াতেমালা ও আয়ারল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ফিনল্যান্ড, গুয়েতেমালা ও আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে তাদের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে পৃথকভাবে পরিচয়পত্র গ্রহণের পর তিনি এ কথা বলেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা হলেন- ফিনল্যান্ডের কিমো লাহডেভিরতা, গুয়েতেমালার ওমর কাস্তেনেদা সোলারেস ও আয়ারল্যান্ডের কেভিন কেলি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এখানে নতুন দূতদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এই তিন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সংহত হবে।
বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ ও নিজ নিজ দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সব সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি তিন দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সফরের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ মানবিক কারণে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিলেও এখন এটি একটি জটিল আর্থ-সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বন্ধুপ্রতীম দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূরা নিজ নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতিতে দুঃখ ও সমবেদনা জানান।
রিমালসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের সাফল্যের প্রশংসা করে তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের আগমনের সময় তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৬ মাস আগে
সুপারশী: যে দ্বীপে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
বিশ্ব পরিব্রাজকদের শীর্ষ সারিতে নারীদের অবস্থান এখন আর নতুন কোনও ব্যাপার নয়। গহীন অরণ্য, আকাশচুম্বী পর্বতশৃঙ্গ, এমনকি সাগরের মাঝে জেগে থাকা প্রবাল দ্বীপেও নারীরা এখন সাবলীলভাবে বিচরণ করছে। নারীদের ভ্রমণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে নিরাপত্তা। ভ্রমণকালে পুরুষদের অযাচিত আচরণের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের ভ্রমণ হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এমন রূঢ় বাস্তবতার মাঝে অনেক নারী হয়তো এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে চান যেটা হবে পুরুষের ছায়া মুক্ত। ‘সুপারশী’ দ্বীপের গল্পটা ভ্রমণপিপাসু নারীদের কাছে কিছুটা স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে আসলেই এমন একটি দ্বীপ আছে, যেটি শুধু নারীদের এবং যেখানে কোনও পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। চলুন, বিস্ময়কর এই দ্বীপটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সুপারশী দ্বীপের ভৌগলিক অবস্থান
মধ্যরাতের সূর্যের দেশ ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলবর্তী শহর রেইসবর্গ মিশে গেছে বাল্টিক সাগরে। এই রেইসবর্গ সৈকতের কাছাকাছি বাল্টিক সাগরের বুকে রেইসবর্গ দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপ ফিওর্ড্স্কার। ৮ দশমিক ৪ একরের এই ভূ-খন্ডটি রাজধানী হেলসিন্কির অন্তর্গত রেইসবর্গ শহরের অংশ। এই ফিওর্ড্স্কারই ২০১৮ সাল থেকে সুপারশী নাম নিয়ে বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র নারীদের দ্বীপের মর্যাদা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
সুপারশী উদ্যোগের পটভূমি
জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী উদ্যোক্তা ক্রিস্টিনা রথ ২০১৭ সালে ক্রয় করেন ফিওর্ড্স্কার দ্বীপটি। এই রথ ফোর্বসের দ্রুত সফলতা অর্জনকারী শীর্ষ ১০ নারী উদ্যোক্তাদের একজন। ২০১৬ সালে তিনি তার প্রযুক্তি পরামর্শদানকারী সংস্থা ‘ম্যাটিসিয়া কন্সাল্ট্যান্ট্স’ ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য ৭১৩ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৩ বাংলাদেশি টাকা)।
ফিওর্ড্স্কারের মালিক হওয়ার পর রথ দ্বীপের নামকরণ করেন ‘সুপারশী’। তার উদ্দেশ্য ছিল মূলত নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বের নানান পেশাজীবী নারীদের সান্নিধ্য পাওয়ার। আর এরই অঙ্কুরে জন্ম নেয় সুপারশী।
শুরু থেকেই রথ দ্বীপে শুধুমাত্র নারীদের প্রবেশের রীতি চালু রেখেছিলেন। দ্বীপের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন স্থাপনের জন্য পুরুষ নির্মাণ শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার ছিল। এছাড়া বিশেষ অনুমতি ছিল রথের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক পুরুষদের।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
বেশ কয়েকটি মিডিয়াতে নিজের এই উদ্যোগের কথা শেয়ার করেন রথ। মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যাওয়ায়, দ্বীপের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই বুকিং-এর অনুরোধ আসতে শুরু করে। গোটা বিশ্ব থেকে ৮ হাজারেরও বেশি নারী পর্যটকের আবেদন এসেছিল। এর মধ্য থেকে রথ ১৫০ জনের ভিডিও সাক্ষাৎকার নেন।
অবশেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুন পুরো একটি দ্বীপ রিসোর্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘সুপারশী’।
২০২৩ সালের শেষের দিকে শিপিং নির্বাহী কর্মকর্তা ডেয়ান মিহভ দ্বীপটি কিনে নেন এক মিলিয়ন ইউরোতে। মূল্যটি প্রায় ১১ কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০ টাকার (১ ইউরো = ১১৯ দশমিক ১৫ বাংলাদেশি টাকা) সমান। মালিকানা পরিবর্তনের পরেও চিত্তবিনোদনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
৯ মাস আগে
ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিতে প্রস্তুত, পুতিনের জন্য ধাক্কা
ফিনল্যান্ড ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিয়েছে। যা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের ফলে মহাদেশের ঐতিহাসিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাশিয়াকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে।
মঙ্গলবার নথি হস্তান্তরের মাধ্যমে নর্ডিক জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা জোটে প্রবেশ করেছে।এতে রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত দ্বিগুণ হয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ ইউরোপের নিরাপত্তা ভৌগলিক একটি বড় পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েতদের কাছে পরাজয়ের পর দেশটি নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসন মস্কোর প্রতিবেশীদের মধ্যে ভয়ের কাঁপুনি ওঠার কয়েক মাস পর দেশটির নেতারা জোটে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যতদিন দরকার ততদিন সাহায্য করবে ন্যাটো
এই পদক্ষেপটি পুতিনের জন্য একটি কৌশলগত এবং রাজনৈতিক আঘাত। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবং আংশিকভাবে এটিকে আক্রমণের ন্যায্যতা হিসাবে ব্যবহার করেছেন। জোট বলেছে যে তারা মস্কোর জন্য কোনো হুমকি নয়।
রাশিয়া সতর্ক করেছে যে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় এটিকে ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য করা হবে। এটি সতর্ক করেছে যে এটি ফিনল্যান্ডের কাছে বাহিনীকে শক্তিশালী করবে যদি ন্যাটো তার ৩১তম সদস্য দেশটিতে অতিরিক্ত সেনা বা সরঞ্জাম পাঠায়।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জোট এড়িয়ে যাওয়া প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও আবেদন করেছে। কিন্তু ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে প্রক্রিয়াটি আটকে আছে।
ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ আনুষ্ঠানিক হয়ে ওঠে যখন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে তার যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নথি হস্তান্তর করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট হলো সদস্যপদ সংক্রান্ত ন্যাটো পাঠ্যের ভান্ডার।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
১ বছর আগে
ন্যাটোর সদস্যপদ: ফিনল্যান্ডকে হ্যাঁ, সুইডেনের প্রতি নাখোশ এরদোয়ান
ন্যাটের সদস্যপদ পেতে ফিনল্যান্ডকে সমর্থন করতে তুরস্ক এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
অন্যদিকে ইউরোপের আরেকটি দেশ সুইডেনের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নিবেন না তুরস্ক।কারণ সম্প্রতি সুইডেনে তুরস্ক বিরোধী বিক্ষোভ যাকে ইসলামফোবিয়া হিসেবে বর্ননা করে ইউরোপের দেশটির নাগরিককের তুরস্কে সফরে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে গত সপ্তাহান্তে বিক্ষোভের পর এক বিধর্মী পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো এবং কুর্দিপন্থী দলগুলো তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর শনিবার ভ্রমণ সতর্কীকরণ দেয়া হয়। এই ঘটনাগুলো সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ অনুমোদন করতে তুরস্কের অস্বীকৃতিকে আরও শক্ত করেছে।
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড সামরিক জোটের সদস্য হওয়ার জন্য যৌথভাবে আবেদন করেছে।
রবিবার প্রকাশিত একটি ইভেন্টের পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিওতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তুরস্ক শুধুমাত্র ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে স্বাক্ষর করতে পারে।
বিলেসিক প্রদেশে তরুণদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, যদি প্রয়োজন হয় আমরা ফিনল্যান্ড সম্পর্কে একটি ভিন্ন বার্তা দিতে পারি। আমরা যখন ফিনল্যান্ড সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা দেবো, তখন সুইডেন হতবাক হয়ে যাবে।’
তুরস্ক অভিযোগ করে বলেছে যে কুর্দি গোষ্ঠীগুলোসহ সন্ত্রাসী সংগঠন বা অস্তিত্বের হুমকি হিসাবে বিবেচনা করা গোষ্ঠীগুলোর প্রতি খুব নম্রতা দেখায় স্টকহোম সরকার।
ন্যাটোর নতুন সদস্যদের যোগ করার জন্য তার বিদ্যমান সদস্যদের সর্বসম্মত অনুমোদনের প্রয়োজন, কিন্তু এরদোয়ানের সরকার বলেছে যে দেশটি তার শর্ত পূরণ করলেই তারা সুইডেনকে সমর্থন দিতে রাজি হবে।
নাগরিকদের জন্য তার ভ্রমণ সতর্কতায় তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত গোষ্ঠী‘ দ্বারা তুর্কি-বিরোধী বিক্ষোভের বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তারা এক দশক ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। তুরস্কের পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পিকেকেকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
কুর্দিপন্থী গোষ্ঠীগুলো তাদের ন্যাটো সদস্যপদে তুরস্কের অনুমোদন পেতে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের তাদের দেশে পিকেকে-এর কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে সংগঠিত সুইডেনে বিক্ষোভের সময় পিকেকে এবং এর সহযোগীদের পতাকা উড়িয়েছে।
এরদোয়ান বলেছেন যে তিনি সুইডিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি যদি সত্যিই ন্যাটোতে প্রবেশ করতে চান তবে আপনি এই সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর করবেন। আপনি যদি এই সন্ত্রাসীদের হস্তান্তর না করেন, তাহলে দুঃখিত।’
তিনি বলেছিলেন যে তুরস্ক সুইডেনের কাছ থেকে প্রত্যার্পণ চায় এমন ১২০ জনের একটি তালিকা সরবরাহ করেছে।
জুনে স্বাক্ষরিত সমঝোতায় একটি দাবি ছিল যা নর্ডিক দেশগুলোর যৌথ আবেদনে তুরস্কের ভেটোর কারণে বাদ পড়ে যায়।
ডিসেম্বরে সুইডিশ সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে দেশটি গুলেনের সঙ্গে যুক্ত একটি সংবাদপত্রের প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক বুলেন্ট কেনেসকে হস্তান্তর করতে পারে না,যা তুরস্ককে ক্ষুব্ধ করে।
তুরস্ক ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের চেষ্টার জন্য অভিযুক্ত মুসলিম ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেনের কিছু অনুসারী কথিত পিকেকে জঙ্গিদের প্রত্যার্পণের দাবি করছে।
তুরস্ক স্টকহোমে গত সপ্তাহান্তে উগ্র ডানপন্থী কর্মী রাসমাস পালুদানের কুরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, যা তিনি শুক্রবার কোপেনহেগেনে পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। ডানপন্থী আরেক কর্মী হেগে কুরআনের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর আঙ্কারা ডাচ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
গত সপ্তাহের বিক্ষোভের পর এরদোগান সুইডেনকে সামরিক জোটের সদস্যপদ পাওয়ার দৌড়ে সমর্থন আশা না করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। তুরস্ক ব্রাসেলসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। যেখানে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং ইউরোপে বিক্ষোভ এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে তারা জেনোফোবিক বা বর্ণবাদী আক্রমণের সম্মুখীন হলে তাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া উচিত।
একটি পৃথক পরামর্শে মন্ত্রণালয়টি তুর্কি নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেমফিস, টেনেসি, নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি টায়ার নিকোলসের পুলিশ কর্তৃক মারাত্মক মারধরের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে শনিবার তুরস্ক তার ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার আগে নর্ডিক দেশগুলো পৃথকভাবে তুরস্কের জন্য সর্বশেষ ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করেছিল। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন তুরস্কে আসা তাদের নাগরিকদের বড় জমায়েত এড়াতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ওয়েবসাইটে একটি বার্তায় বলেছে যে আঙ্কারায় সুইডেনের দূতাবাস জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে এবং ইস্তাম্বুলে দেশটির কনস্যুলেট জেনারেলের দর্শনার্থীদের ‘সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
স্টকহোমে গত সপ্তাহান্তের ঘটনার পর তুরস্কে শুরু হওয়া পাল্টা প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করে সুইডেনের মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা তুরস্কে সুইডিশদের সচেতন করতে চাই যে আরও প্রতিবাদ হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকার নিন্দা
১ বছর আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেলা মারিন-এর শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
ফিনল্যান্ডের এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হতে পারে।
রিতভা বলেন, তার দেশ জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো বিদ্রোহের অনুমতি দিই না।’
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, তার সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং সে সময় ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে।
বাংলাদেশে প্রচুর হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের (বিদেশ) নীতি হল-সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সার আমদানি করলেও এখন শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আরও খাদ্য উৎপাদনের জন্য কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পশ্চিমা হস্তক্ষেপের কারণে সত্যিকারের কূটনীতির কোনো জায়গা নেই: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
২ বছর আগে
রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে দেশে আসার পথে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০.৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। ফিনল্যান্ডে দুই দিনের বিরতির পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছেছিলেন।
পড়ুন: ওয়াশিংটন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সরকার, দেশ ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের বাগানে একটি বেঞ্চ উন্মোচন করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে যান।
ওয়াশিংটনে থাকার সময় শেখ হাসিনা নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ হাউস’ উদ্বোধন করেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরে শুক্রবার ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শুরুতে তিনি ফিনল্যান্ডে অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিশেষ ফ্লাইট সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বিমানটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার সময় হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮তম বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে বিকাল ৪টায় (হেলসিঙ্কি সময়) হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টায় (স্থানীয় সময়) অবতরণের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯-২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে অবস্থান করবেন।
২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিউইর্য়ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেখ হাসিনা ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে এবং পৌনে ৩টায় বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি বিকাল ৪টায় সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। বিকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিক্সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং বিকাল ৪টায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ব্যবসায়িক গোলটেবিলে অংশ নেবেন।
২২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) হাসিনা তিনটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সকাল ৯টায় ডারবান ডিক্লারেশন এবং কর্মসূচী গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী, ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১ ৯ সামিট এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিকাল ৩টায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াকে আসামি করতে চেয়েছিলাম: শেখ হাসিনা
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচী: সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসাবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুইয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং রাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হাসিনা সকাল ৮টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ফিনল্যান্ডে কিছুক্ষণ বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
৩ বছর আগে