গাজায় পাশবিক হামলা ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে তা শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘জায়োনবাদ নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকে সারা বিশ্বের মুসলিমরা যেখানে রমজান, ইফতার, সেহরি করছে, সেখানে ফিলিস্তিনের শিশু-নারীরা লাশের মিছিলে শরিক হচ্ছেন। বিনা নোটিশে সন্ত্রাসী ইসরায়েল আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর হামলা করছে। তাদের নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে।
ইহুদিবাদী সেনাদের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের এই নৃশংস অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, আজ রমজানের শেষ শুক্রবার, আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার আন্দোলনে বিশ্ব মানবতাকে উজ্জীবিত করার প্রতীকী দিন এটি।
বিশ্বজুড়ে দিনটি এমন এক সময় পালিত হতে যাচ্ছে, যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পাশবিক হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। নতুন করে শুরু হওয়া এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৮২ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারিকুল হাসান।