র্যাবের ভাষ্য, সুমন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানসহ ফেনী মডেল থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
র্যাব- ৭ এর ফেনী ক্যাম্প অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, মঙ্গলবার রাতে ফেনীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী ধর্মপুর ইউনিয়নের কবিরাজ দিঘী এলাকায় মাদক পাচারের জন্যে একটি সংঘবদ্ধ চক্র একত্রিত হওয়ার সংবাদ পায় তারা। এমন খবরে সেখানে অভিযানে যায় র্যাব। উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ওপর গুলি ছুড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। র্যাবও পাল্টা গুলি করে।
‘উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায় মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় তল্লাশি করে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক জনকে উদ্ধার করে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে, বলেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।’
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, র্যাব তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্ত ছাড়া তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত সম্ভব নয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি ১টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি দেশীয় বন্দুক ও ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ খান চৌধুরী জানান, নিহত সুমন মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি।