মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিরা ছাড়াও এক মালয়েশিয়ান রয়েছেন। যাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর তারা সামাজিক মাধ্যমে কিছু পোস্ট দিয়েছিল, যা ‘সহিংসতায় ইন্ধন দেয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে’।
তবে এসব পোস্টে কী ছিল তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
মোট ২৩ বিদেশির মধ্যে তদন্তের মাধ্যমে ১৬ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিৃবতি উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিক থেকে দেশটিতে সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থা জারি করা হয়েছে। এবং সিঙ্গাপুরে ফ্রান্সের অনুকরণে কোন হামলা ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত মাসের শুরুর দিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে ওই স্কুল শিক্ষককে স্কুলের কাছে শিরশ্ছেদ করা হয়। ফ্রান্সের নিস শহরে গত মাসের শেষের দিকে একটি গির্জায় ছুরি নিয়ে চালানো হামলায় তিন ব্যক্তি মারা যান।
নিস শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রসি এই হত্যাকাণ্ডকে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির হত্যার সাথে তুলনা করেন।
ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের পক্ষ সমর্থন করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠে এবং কয়েকদিন ধরেই কিছু দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। কোনো কোনো দেশে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেয়া হয়।