বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে ডিইউজে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের অস্থিরতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা ডিইউজের
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর উদযাপনলগ্নে স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্রবাদী অপশক্তির এহেন সংস্কৃতিবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অব্যাহত প্রগতিবাদী অভিযাত্রাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের নামান্তর।
নেতারা আরও বলেন, সারা মুসলিম বিশ্বে ভাস্কর্য রয়েছে। মিসর, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে অনেক শৈল্পিক ভাস্কর্য রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ভাস্কর্য নিয়ে যে অপব্যাখ্যা করা হয়েছে তা মূলত রাজনৈতিক। এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তও আছে।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গত কিছুদিন যাবৎ সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ভাস্কর্য শিল্পের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। শুধু তাই নয়, তারা কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’
ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে এই ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে যুক্ত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। একইসঙ্গে ভাস্কর্য অর্থাৎ সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থানকারী মৌলবাদী চক্রের আস্ফালন বন্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি মৌলবাদের উৎসমূল উৎপাটনের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: অনুসন্ধানের নামে সাংবাদিকদের তলব স্বাধীন সংবাদ প্রবাহের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ: ডিইউজে
প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।