পরিদর্শনকালে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)’র মাধ্যমে প্রদত্ত নগদ অর্থ সহায়তা ও জরুরি স্বাস্থ্যবিধি উপকরণসহ বিভিন্ন জরুরি সহায়তা গ্রহণকারী পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় তার সাথে যোগ দেন গাইবান্ধা জেলা ও ফুলছড়ি উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং এই জরুরি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা।
একটি ত্রাণ বিতরণ স্থানে বিরতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার, স্থানীয় কর্মকর্তারা এবং এনজিও প্রতিনিধিরা ইউএসএআইডি’র ‘সৌহার্দ্য-৩’ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ২০১৯ সালের বন্যার পরে উঁচু করা বসতভিটায় নির্মিত বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।
গত বছর বাড়িঘর, গোয়াল, গৃহস্থালী ক্ষেত-খামারসহ দেড় হাজারের অধিক বসতভিটা বন্যার স্তরের চেয়ে উঁচু করা হয়েছে। এখন এসব বাড়ির মালিকদের সম্পদগুলো বন্যা থেকে সুরক্ষিত রয়েছে এবং এসব মালিকেরা এখন বাড়িঘর বন্যা প্লাবিত হওয়া প্রতিবেশী পরিবারগুলোকে আশ্রয় দিতে পারছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।’
তিনি আরও বলেন, বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ বাংলাদেশের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা এবং বাংলাদেশ সরকার, কেয়ার এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের নিদর্শন।’
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করেছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকার একাধিক সংস্থা থেকে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে এ পর্যন্ত ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নতকরণ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চা উৎসাহিতকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৯ সালে ইউএসএআইডি এককভাবে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ প্রদান করেছে।