চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন যুবক সাগর মোল্লা (২২)।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে গৌরনদী উপজেলার সালতা গ্রামের আসিফ খানের বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগে সাগরকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
নিহত সাগর জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের সিরাজ মোল্লার ছেলে।
ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সালতা গ্রামের মজিবর খানের ছেলে আসিফ খানের বাড়িতে প্রবেশ করে সাগর। এসময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ধাওয়া করে সাগরকে আটকে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে গুরুতর আহতাবস্থায় ওইদিন রাতেই সাগরকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাই সীমান্তে বাংলাদেশি কৃষককে ‘পিটিয়ে হত্যা’ করল বিএসএফ
নিহতের বাবা সিরাজ মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমরা কাজের সুবাদে মাদারীপুরে থাকি। ওইদিন রাতে সাগর আমাদের গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়া যাওয়ার সময় সালতা গ্রামের আসিফ খান, মজিবর খান, আলামিন মোল্লাসহ ২০ থেকে ২৫ জন পরিকল্পিতভাবে সাগরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।
পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে সালতা গ্রামের আসিফ খান বলেন, গ্রামবাসী ধরে তাকে গণধোলাই দিয়েছে। এখানে পরিকল্পিতহত্যার কোনো ঘটনা ঘটেনি।