স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের কাজের আরও সুযোগ রয়েছে। শুধু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থে নয়, বরং সাধারণ কৃষকের উন্নয়নে ও স্বার্থে তাদের কাজ করতে হবে।
রবিবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলা ইকোপার্কে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় কৃষকরা জানায়, রাজশাহীতে খাওয়ার আলুর জন্য হিমাগার বা সংরক্ষণাগার রয়েছে কিন্তু বীজ আলু সংরক্ষণের জন্য কোনো হিমাগার নেই।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষির আলু সংরক্ষণে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে অহিমায়িত মডেল ঘর নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, সরকার আলু উৎপাদন বাড়াতে নেদারল্যান্ডস থেকে উন্নত জাতের আলুবীজ আমদানি করেছে।
আলুবীজের দাম যাতে না বাড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে কৃষকদের পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।
কৃষকরা আরও জানায়, এ অঞ্চলের মাটিতে পিএইচের পরিমাণ কম থাকার কারণে মাটিতে অম্লত্ব বেশি। ফলে ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে। কৃষকরা এ সমস্যা সমাধানে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উপদেষ্টা এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে গবেষণাপূর্বক সমস্যাটি সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা কৃষকদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনার কথা শোনেন।
কৃষকদের লাভজনক শস্য উৎপাদন ও শস্য বহুমুখীকরণের পরামর্শ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর আগে ‘পদ্মা নদী হতে সরমংলা খাড়িতে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন দ্বারা পানি সঞ্চালন’ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।
এছাড়াও সরমংলা খাড়িতে পোনামাছ অবমুক্ত করেন এবং সরমংলা ইকোপার্কে 'ব্ল্যাকস্টোন' জাতের আমের চারা রোপণ করেন।
পরে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত কলিপুর ইরিগেশন সিস্টেম পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।