মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত উভয়ে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বার্নিকাট বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং যেকোনো দেশের সমৃদ্ধির পেছনে এটি এক ‘বিরাট কারণ’।
বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে ‘অসাধারণ’ হিসেবে বর্ণনা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেই সাথে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে তরুণরা দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে।
বাংলাদেশে উৎপন্ন আম ও লিচুর প্রশংসা করেন বার্নিকাট।
এসময় প্রধানমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তার মূলমন্ত্র হলো দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে ফিরে দেশের প্রতিটি কোণ ঘুরে দেখেছেন এবং সেই অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তিনি পরিকল্পনা করেন যে দেশকে কীভাবে উন্নত করা হবে।
কৃষির উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে (শীতের) মৌসুম ছাড়া সবজি পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন আমরা সারাবছর ধরে সবজি পাচ্ছি।
গবেষক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদানের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।