বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জরুরিভাবে অনুদানভিত্তিক সরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বেচ্ছায় দাতাদের সহায়তার বাইরে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য জরুরিভাবে নতুন, অনুমানযোগ্য ও পর্যাপ্ত অনুদানভিত্তিক সরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন। আমরা দেখতে চাই যে উন্নত দেশগুলো ২০২০ ও ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে এবং গত তিন বছরের (২০২০-২০২২) ঘাটতি পূরণ করতে হবে।’
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত প্রাক-কপ২৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে সময়মতো রিপোর্ট করা এবং হিসাব করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্টতা প্রয়োজন। এটা করতে ব্যর্থ হলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করবে এবং কাজের অগ্রগতি বিপন্ন করবে। ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের নিউ কালেকটিভ কোয়ান্টিফাইড গোল (এনসিকিউজি) অবশ্যই প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শেষ লক্ষ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হতে হবে, ঋণের তুলনায় অনুদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রকৃত চাহিদা পূরণ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের একটি সংজ্ঞায় একমত হতে দলগুলোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত যা জলবায়ু এবং অ-জলবায়ু অর্থ প্রবাহের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা সহজতর করে। কপ২৮ এর ফলাফলের ওপর জোর দেওয়া উচিত। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়নের বিধান ও গতিশীলতার বিষয়ে উন্নত দেশগুলো সজাগ হয়।
কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য হিসেবে প্রক-কপ২৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।