চীন আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশিকে পড়াশোনা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও চীনে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। আবেদনকারীদের জন্য সহযোগিতামূলক ভিসা নীতিমালা, ফ্লাইটের বিভিন্ন অপশন এবং টিকিটের আকর্ষণীয় দামের কারণে এ উৎসাহ দেখাচ্ছে বলে বুধবার জানায় চীনা দূতাবাস।
ভিসা সহজীকরণ ব্যবস্থা এবং আরও ‘রাউন্ড-ট্রিপ ফ্লাইট’র প্রস্তুতি দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীন বিশ্বের জন্য তার দরজা আরও বিস্তৃত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চীন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বার বার আশ্বস্ত করা হয়েছে।
চীনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ আগস্ট থেকে চীনে যাওয়ার আগে যাত্রীদের আর কোভিড-১৯ পিসিআর বা এটিআর পরীক্ষা করতে হবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চীনে পৌঁছানোর পর দেশটির কাস্টমসের কাছে যে পরীক্ষার ফলাফল দিতে হতো তা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস তিন সপ্তাহ আগে একটি নোটিশ জারি করেছিল।
এ বছরের শেষ পর্যন্ত সিঙ্গেল অ্যান্ড ডাবল এন্ট্রি বিজনেস (এম), ট্যুরিজম (এল), ফ্যামিলি ভিজিট (কিউ২), ট্রানজিট (জি) ও ক্রু (সি) ভিসার জন্য আবেদনকারীদের দূতাবাসের কাউন্টার ডেস্কে আঙুলের ছাপ রাখার প্রয়োজন হবে না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা-গুয়াংজু রুটে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এই রুটের টিকিট ইতোমধ্যে কোম্পানির ওয়েবসাইটে বিক্রির উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স গুয়াংজু রুটে সপ্তাহে ৩ থেকে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
চীনা দূতাবাস জানায়, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিবেচনায় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইটের মোট পরিমাণ প্রতি সপ্তাহে ৪৮ টিতে উন্নীত হবে, যা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার লোকের পরিবহনের প্রয়োজন পূরণ করবে।
এই সহস্রাব্দের শুরু থেকে বিশেষ করে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ক্রমাগত বেড়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়।
তারা যৌথভাবে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করতে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।