বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আলপার্ট মেডিকেল স্কুলের ডিন ড. মুকেশ জৈনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিষয়ে জানান ড. কামাল চৌধুরী।
ড. কামাল চোধুরীর সম্মানে আয়োজিত এই সভায় অংশ নেন ডিন অধ্যাপক মুকেশ জৈন, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ গবেষণার পরিচালক ড. রুহুল আবিদ, গ্লোবাল হেলথের প্রধান ড. অ্যাডাম লেভিন, ড. সুসান কুভিন, ট্রান্সলেশনাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. শ্যারন রাউন্ডস ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ভারত রামরত্নম।
বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতে এবং কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ ও সফলতা অর্জনের ভূয়সি প্রশংসা করেন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ জাতিসংঘে প্রশংসিত হওয়ায় ব্রাউন বিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুল কর্তৃক গত সেপ্টেম্বরে তাকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার স্মৃতিচারণ করেন জৈন ও ড. আবিদ।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক বিনিময় ও যৌথ গবেষণায় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ প্রকাশের কথাও তুলে ধরেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে ডিজিটাল বই প্রকাশের উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
তারা আরও জানান, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্ণয়ের আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন, ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ড পদ্ধতির মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উপজেলা ও জেলা হাসপাতাল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের মেডিকেল ডাটা বিনিময় করছে। এছাড়াও শিশুদের ডায়রিয়াজনিত চিকিৎসা গবেষণার কাজে তারা সহায়তা করেছে। ভবিষ্যতে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ঢাকায় ব্রাউন-বাংলাদেশ যৌথ সেমিনার আয়োজনের আগ্রহের কথাও জানান তারা।
আলোচনায় ড. কামাল চৌধুরী ব্রাউন-বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ ও এডুকেশন ইনিশিয়েটিভের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ব্রাউন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসা গবেষণা খাত বিশেষভাবে উপকৃত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলোর মানোন্নয়ন এবং হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং গবেষণা কার্যক্রমে আলপার্ট মেডিকেল স্কুলের বিশেষ সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: এবার দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী