বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যে ভারত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অসামান্য অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক থাকাই স্বাভাবিক এবং তাই আছে। মতদ্বৈততার মুখ্য কোনো বিষয় নেই, সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রয়োজন একসঙ্গে কাজ করার।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাসকমিউনিকেশন এলামনাই এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ'র সম্মেলন কানেকশন্স ২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কভিত্তিক রিপোর্টিং পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের সম্পর্ক আজ নতুন উচ্চতায় বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের এক কোটি মানুষকে আপন করে আশ্রয় দিয়েছে। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের কারাগারে ফাঁসির মুখে দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন, পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা করেছে, সে চিত্র বিশ্বে তুলে ধরেছেন। সেইসব কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ভারতের নাম চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কভিত্তিক রিপোর্টিং পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান ও আইআইএমসি গ্র্যাজুয়েটরাসহ সকল গণমাধ্যম দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে শিক্ষা ও জনগণের উন্নতি সাধনে ভারত বাংলাদেশকে সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
আইআইএমসিএএবি'র সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অপু মাহফুজ ও সাংবাদিক প্রসাদ স্যানাল।