গত ৩১ আগস্ট একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কর্তৃক মিলনায়তনের সব গেইট বন্ধ করে সভায় উপস্থিত সবাইকে প্রায় ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে ধ্বংসাত্মক ঘটনা, ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করাসহ সার্বিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়ার আদেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক আদেশনামায় এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটিতে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারকে সভাপতি এবং সংস্থাপন শাখা-২ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. মঞ্জুর হোসেনকে সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান, পূর্ত বিভাগ-১ এর অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক।
আদেশে যথা দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন বা সুপারিশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ০৭ আগস্ট বাকৃবির পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের চাকরির ক্ষেত্র বাড়ানো এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর পাঠায়।
এতে বলা হয়, উপাচার্য বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে গত ১২ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করে দেন। গঠিত কমিটির সুপারিশে গত ৩১ আগস্ট সকাল ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় ২৫১জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করা হলে শিক্ষা পরিষদ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ৩টি ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।