অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেছেন, হাজার বছরে সৃষ্টি হওয়া বাঙালি জাতিসত্তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতার মাধ্যমে পূর্ণতা দেন।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তিনি জনযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় আল্লামা সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সকল পর্যায় সম্পর্কে জানার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে নারকীয় ও বীভৎস গণহত্যার মধ্যে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা অন্যতম। এ দেশের অধিকাংশ মানুষকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।’

বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ২ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের সন্তানেরা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত সকলে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ক্যানবেরার প্রবাসী তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের সংগঠন ফেরারি’র শিল্পীরা দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন। 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথে এগুচ্ছে: ইয়াঙ্গুনে রাষ্ট্রদূত

এ সময় হাইকমিশন পরিবারের শিশু-কিশোরীরা দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়া সিডনির নৃত্য শিল্পীদের সংগঠন ‘নৃত্তাঞ্জলি’ নৃত্য পরিবেশন করে।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও পড়ুন: ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন