প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই সময়টিকে ‘বাংলাদেশের পিছিয়ে যাওয়ার পাঁচ বছর’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সজীব ওয়াজেদ তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া একটি পোস্টে এই মন্তব্য করেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে ‘নাইরে বিদ্যুৎ, নাইরে পানি, হাওয়া ভবন টাকার খনি’ এই স্লোগানে পোস্টটির সঙ্গে একটি ভিডিও যুক্ত করা হয়েছে।
২০০১-২০০৬ মেয়াদকে ‘ঐতিহাসিক ও বিস্ময়কর ' বলে অভিহিত করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তৃতাকে কটূক্তি করে, ভিজ্যুয়াল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার শাসনকাল সত্যিই ঐতিহাসিক ও বিস্ময়কর ' ছিল। যেমন- ‘হত্যা, দমন, দখল, দলীয়করণ এর মতো ঘটনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, অনিয়ন্ত্রিত লুণ্ঠন, দুর্নীতি, অর্থপাচার, চরমপন্থা ও গ্রেনেড হামলা ইত্যাদিতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে রেকর্ড গড়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
ভিডিওটিতে সাধারণভাবে বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কিছু সাক্ষাৎকারও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে এক ব্যক্তি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার পাঁচ বছরে শতভাগ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সেই সরকারের আমলে স্কুলের শিক্ষক নিহত, ছাত্র খুন, সাংবাদিক নির্যাতিত, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে অন্য একজনকে বলতে শোনা গেছে, তারেক জিয়াকে তিনি ৫০-হোন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। এখন তিনি একেবারে নতুন গাড়ির মালিক। এগুলো কোথা থেকে এসেছে? এগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে এসেছে।
অন্য একজনকে বলতে শোনা গেছে, অর্থ পাচার করে তারেক জিয়া এশিয়ার অন্যতম ধনী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
হাওয়া ভবনকে রাষ্ট্রীয় ভবনকে ক্ষমতার প্যারালাল কেন্দ্রে পরিণত করে, তারেক রহমান এটিকে ঘুষ ও পার্সেন্টেজ দেয়ার অলিখিত কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছিলেন বলে ভিডিওতে বলা হয়।
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাপক রাজনীতিকরণ ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা কৃত্রিমভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে এবং এভাবে সাধারণ জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে।