স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে যে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা তারা চাইলে ফেরত দেওয়া হবে। তবে তাদের অবশ্যই হবে টাকা দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যখন জঙ্গিদের উত্থান, তখন আমাদের এখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল...তখন আমরা মাত্র চারটি দূতাবাসকে সুরক্ষা দিতাম। এটি আমাদের কাছে লিখিতভাবে প্রয়োগ করা হয়নি, তারা আমাদের অনুরোধও করেনি। আমরা তাদের দিয়েছিলাম (অতিরিক্ত নিরাপত্তা) যাতে তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি সেই পরিস্থিতি আর নেই। যেহেতু সেই পরিস্থিতি নেই, তাই আমরা এই সুরক্ষা তুলে নিয়েছি। তবে, যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন এটির প্রয়োজন হবে, তাহলে নতুন আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তাদের সুরক্ষা দেবে...তাদের অর্থ দিতে হবে। খরচ এবং আমরা সে অনুযায়ী তাদের জন্য ব্যবস্থা করব। সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি যে প্রতিটি দূতাবাসে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পুলিশি সুরক্ষা রয়েছে এবং আমি যে চার রাষ্ট্রদূতের কথা বলেছি তাদের জন্যও বন্দুকধারী রয়েছে। সেখানে সব ধরনের সুরক্ষা রয়েছে। আমরা যে সুরক্ষা দিতাম শুধুমাত্র রাস্তায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি মনে করি আমি এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি।’
রাষ্ট্রদূতদের ওপর কোনো হামলা বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাকে পরিষ্কার বলেছি, যদি তারা মনে করে যে তাদের সড়কে নিরাপত্তা দরকার, তাহলে আমাদের সবকিছু প্রস্তুত আছে। যদি তারা চায় তাহলে তা পাবে।’
তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের এই আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেব।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব