বড় বড় জামাতে মিলিত হয়ে নামাজ আদায় করে উৎসবের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে সারা দেশের মুসলমানরা।
দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদে ঈদের নামাজ আদায় করতে সমবেত হন প্রায় তিন লাখ মুসল্লি। সকাল সাড়ে ৮টায় মাওলানা সামসুল হক কাসেমীর নেতৃত্বে ওই ঈদগাহের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শহর ও আশপাশের মানুষ যাতে জামাতে অংশ নিতে পারে, সেজন্য দুইটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে এবং অন্যটি পাবর্তীপুর থেকে দিনাজপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করেছে। এছাড়া মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সতর্ক ছিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
২০১৭ সাল থেকে গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ মাঠে শোলাকিয়ার মতো বড় পরিসরে ঈদ জামাতের আয়োজন হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির মধ্যেও সিলেটের শাহী ঈদগাহে বিভাগের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
এছাড়া, বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগুম্বজ মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় এই মসজিদে জেলার প্রধান ও প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় এবং সাড়ে ৮টায় তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে ভোর থেকেই জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এসে ভীড় জমায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
কুমিল্লায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত জামাতের ইমামতি করেন কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এবং কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহের ইমাম ও খতিব হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম ক্বাদেরী।
এসময় কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ জামাতে অংশ নেন।