এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি। দেশে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে।
সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারালাইন্স এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিমানটি দেশে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারটে ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে পৌঁছেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ইতোমধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়ছে।
চতুর্থ এবং শেষ উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ বৃহস্পতিবার দেশে আসছে। ‘রাজহংস’ বিমান বহরে সংযোজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ১০টি উড়োজাহাজের সবই বিমান বুঝে পাবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
উল্লেখ্য, এর আগে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ইআর এর নামও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া। এগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত এবং ময়ূরপঙ্খী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় চতুর্থ ড্রিমলাইনারটি উদ্বোধন করবেন।
টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। ‘রাজহংস’-এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সর্ম্পূণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।