রবিবারের ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর ৩০০ বিধিতে সংসদে বিবৃতি দেয়ার পরই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ফরাজী বলেন, ‘এমন ঘটনা তদন্তে সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করছি আমি এবং এ বিষয়ে (তদন্ত প্রতিবেদন) সংসদকে জানাতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত সাধারণ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টার পেছনের আসল কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে না।
‘আমরা এটা সহজভাবে নিতে পারি না। এখানে সাধারণ তদন্ত যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে উচ্চ-স্তরের তদন্ত প্রয়োজন,’ উল্লেখ করে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সংসদে জমা দেয়ার জন্য এ প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের যুক্ত করার প্রস্তাব দেন।
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিকার চেয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় এয়ারলাইন্স দেশের ভাবমূর্তি ও অর্থনীতির সাথে জড়িত।
অন্যদিকে, বিমানের পাইলট, তার সহযোগী ও পাঁচ ক্রু পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে ও ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবেলা করায় তাদের পুরস্কৃত করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮)।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা সংবাদ নাকচ করে নিয়ে তিনি বলেন, ওই উড়োজাহাজে তিনি ছিলেন না। তবে ঘটনার সময় তিনি ঢাকা ফেরার জন্য শাহ আমানত বিমানবন্দরে ছিলেন।
বাদল চকবাজারের আগুন দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও পুরস্কৃত করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী তার বিবৃতিতে জানান, দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন তার বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে দুষ্কৃতকারীকে কথপোকথনে ব্যস্ত রাখেন।
অন্যদিকে, বিমান বাহিনী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার ত্বরিত ব্যবস্থায় সব যাত্রী ও ক্রুকে উড়োজাহাজ থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।
সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যদের নিয়ে গঠিত দলের কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ১৪৮ যাত্রী ও সাত ক্রুর সবাই নিরাপদ আছেন এবং উড়োজাহাজেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টি তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।