তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শিক্ষার্থীদের রোবটিকস, সাইবার সিকিউরিটি, মাইক্রোপসেসর ডিজাইনিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এর মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মানবসম্পদ তৈরি, চাহিদা পূরণ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় দেশে আরও টেকনোলজি এক্সপার্ট (প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ) তৈরি করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার বুয়েট কাউন্সিল বিল্ডিংয়ে হুয়াওয়ে ও বুয়েটের সহযোগিতায় আইসিটি একাডেডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার গবেষণা ও নিজেদের উদ্ভাবনগুলো পরীক্ষণের সুযোগ করে দিতে বুয়েটের পর পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এগুলো হবে কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, যশোর ও ঢাকায়।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে এবং ডিজরাপ্টিভ টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা দিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য সারাদেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক, ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ৪৯৪ উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ
দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৮’শ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্ন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ ইন্টারনেট ও অনলাইনে শতভাগ সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’