পলক
৫ আগস্ট সংসদে থাকার দাবি পলকের, শাজাহানের বক্তব্যে আদালতে হট্টগোল
হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় দাবি করে গত বছরের ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘ওইদিন রাত আড়াইটায় স্পিকার, তাকেসহ ১২ জনকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটার তুরিন আফরোজ আদালতের কাছে দাবি করেছেন, তাকে রিমান্ডের সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
অবশ্য জুনাইদ আহমেদ পলক ও তুরিন আফরোজের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত পলক ও তুরিন আফরোজ।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৫ আগস্ট সংসদে লুকিয়ে ছিলেন পলক
সময় তখন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম ধরে ডাকেন। তখন পলক তার ডান হাত উঁচু করেন। তার হাতে পরানো ছিল হাতকড়া।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বাড্ডায় রংমিস্ত্রি আব্দুল জব্বার খুন হন। এ হত্যা মামলায় জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা জরুরি।
পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জুনায়েদ আহমেদ পলক হাত উঁচু করে কথা বলার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বাড্ডার খুনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত। একটা বিষয় আপনাকে জানিয়ে রাখি। গত বছরের ৫ আগস্ট সকাল ১১টার সময় আমি সংসদে অবস্থান করি। একটা পর্যায়ে আমরা সংসদে আক্রান্ত হয়। একপর্যায়ে আমি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ১২ জন সংসদের বিশেষ কক্ষে অবস্থান করতে বাধ্য হই। রাত আড়াইটার সময় সেনাবাহিনী আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
পলক আদালতকে আরও বলেন, ‘যেখানে আমি সারা দিন সংসদে অবস্থান করেছিলাম, সেখানে ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোন দায় নেই। ইতোমধ্যে আমার ৮৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
অবশ্য জুনায়েদ আহমেদ পলকের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবারই বলছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে যারা সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের যে শাস্তি, একই শাস্তি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জুনায়েদ আহমেদ পলক এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় যে কয়েকজন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এ জুনায়েদ আহমেদ পলক।’
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম, ৫ আগস্ট সংসদে স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন লুকিয়ে ছিলেন। আজ জুনায়েদ আহমেদ পলক সেই ঘটনা বললেন। এখনো স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।’
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে জুনায়েদ আহমেদ পলকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
কাঁঠগড়ায় কাঁদলেন, নির্যাতনের অভিযোগ করলেন তুরিন
সকাল ১০টা এক মিনিট। তখনো বিচারক এজলাসে আসেননি। কাঠগড়ায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক প্রসিকিউটার তুরিন আফরোজ, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক।
তুরিন আফরোজ কাঠগড়ার দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে সামনের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি হাসানুল হক ইনুর কাছে আসেন। কাঁদতে কাঁদতে ইনুকে বলছিলেন, রিমান্ডের সময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তখন ইনু তুরিন আফরোজকে বলতে থাকেন, ‘আপনার কথা আদালতের কাছে তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের কাছেও তুলে ধরতে পারেন।’
বিচারক এজলাসে প্রবেশ করেন ১০টা ১৫ মিনিটে। এ সময় পুলিশের একজন কর্মকর্তা তুরিন আফরোজের নাম ধরে ডাকেন।
তখন একজন আইনজীবী আদালতের কাছে বলতে থাকেন, ‘তুরিন আফরোজের বক্তব্য রয়েছে। তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
এ সময় তুরিন আফরোজ হাত উঁচু করেন আদালতে কথা বলার জন্য। আদালতের অনুমতি দেওয়ার পর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আমি সবসময়ই আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এখনো নেই। কেবলমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।’
তুরিন আফরোজ আদালতকে আরও বলেন, ‘এমনিতেই আমি অসুস্থ। আমার হাঁটতে সমস্যা হয়। আমার পায়ে আঘাত করা হয়েছিল।’
তুরিন নাফরোজের বক্তব্য মিথ্যা বলে আদালতকে জানান ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
তিনি আদালতকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো আসামিকেই নির্যাতন করা হয়নি। তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়নি। নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
পিপির বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তুরিন আফরোজ আবারও আদালতে কথা বলেন। এ সময় তিনি পা দেখিয়ে আদালতকে বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলছি না। আমার পায়ে নির্যাতন করা হয়েছিল।’
শাজাহানের বক্তব্যের পর আদালতে হট্টগোল
যাত্রাবাড়ী থানার আরিফ খান হত্যা মামলায় শাজাহানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ডের স্বপক্ষে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আর রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন শাজাহান খানের আইনজীবীরা।
শাজাহান খানের একজন আইনজিবী আদালতকে বলেন, শাজাহান খান আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার দাদাও ব্রিটিশ আমলে নেতা ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী যখনই আটবারের এমপি শাজাহান উচ্চারণ করেন, তখন আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ভুয়া এমপি শাহজাহান।
এ পর্যায়ে পিপি ওমর ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘শাজাহান খান অন্য দলে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ এসে সর্বোচ্চ প্রেসিডিয়াম পদ পেয়েছেন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী।’
পিপির আইনজীবীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর শাজাহান নিজেই আদালতের কাছে হাত তোলেন কথা বলার অনুমতি দেওয়ার জন্য। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর শাজাহান আদালতকে বলেন, ‘আমার হার্টে পাঁচটি ব্লক। আমি অসুস্থ। আমাকে দুইবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
শাজাহান খান যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন একদল আইনজীবী আদালতকে বলতে থাকেন, উনি পুলিশকেও মারার কথা বলেছেন। এ সময় আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়।
পিপি ওমর ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘আদালতের পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব যেমন আইনজীবীদের, তেমনি আসামিদের। আসামিরা এমন কোনো কথা বলবেন না, যাতে আদালতের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
পিপির কথা বলার সময়ও একদল আইনজীবী হট্টগোল করতে থাকেন। শাজাহান খানকে গালমন্দ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হলো কুয়েটের আবাসিক হল
তখন শাজাহান খান আদালতকে বলেন, ‘আমরা কি কথা বলতে পারব না? আমাদের কি কথা বলার কোনো অধিকার নেই?’
শাজাহান খানের বক্তব্যের পর পর আদালতের অনুমতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হাসান আদালতে কথা বলতে শুরু করেন।
তানভীর আদালতকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি।’
ছাত্রলীগ শব্দ উচ্চারণ করার পর পরই একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘জঙ্গি ছাত্রলীগ’ ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ এমন সব শব্দ উচ্চারণ করতে থাকেন। এ সময় তানভীর হাসান তার কথা বলতেই থাকেন। এ সময় আইনজীবীরা জঙ্গি ছাত্রলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
১২ দিন আগে
শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, নতুন মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন—নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।
এদিন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মাদরাসা ছাত্র মোহাম্মদ আরিফ হত্যার মামলায় শাজাহান খানের একদিন এবং আতিকুল ইসলাম ও তানভীর হাসান সৈকতের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানার আরেক হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক ও কোতোয়ালি থানার মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশাচালক হত্যা মামলা: চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর পলকের
অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার আরেক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, কোতোয়ালি, ভাটারা থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, গোলাম কিবরিয়া মজুমদার, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক ওসি আবুল হাসান ও সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১২ দিন আগে
গাজীপুর আদালতে দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন
গাজীপুরের গাছা থানায় দায়ের করা তিনটি হত্যা মামলায় পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাধন চন্দ্র মজুমদার, কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং ব্যাংক কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আদালতের বিচারক ওমর হায়দার সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আমু-সালমান-দীপু মনি-শমী কায়সারসহ ১০ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এলাকায় নিহতের ঘটনায় দায়ের করা তিনটি হত্যা মামলার আসামি তারা। এদিন সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামরুল ইসলাম, জিয়াউল আহসান ও নজরুল ইসলামকে গাজীপুর আদালতে আনা হয়।
আলোচিত এই বন্দিদের আদালতে আনার পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর ওপর ডিম নিক্ষেপ করে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতরা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবি জানান।
১৩ দিন আগে
শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়: পলক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সময় সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে পলক ইন্টারনেট বন্ধের কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির, অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানি নিয়ে আদালতের আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পলক স্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পলক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধের উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পলক ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
১৩৬ দিন আগে
আবারও রিমান্ডে পলক ও শাহ কামাল
হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আরও তিন দিন এবং যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক সচিব শাহ কামালের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদীউজ্জামান পলকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে শাহ কামালকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আলম।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। পলকের পক্ষে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা মিন্টু ও বাবু
এ সময় আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, ‘তাকে ৪৬ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরে ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ভ্রমণ করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বার বার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
পরে ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১ হাজার ৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নাই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না।’
পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরপর শাহ কামালকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। প্রথমে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মুন্সীগঞ্জের ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়া।
আরও পড়ুন: হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহরে ধাক্কা: গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে
১৪৭ দিন আগে
হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মেনন, ইনু ও পলক
ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান ও আনিসুলসহ ৫ জন
এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মো. মাহাবুল ইসলাম।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৬ আগস্ট বিকালে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এর আগে ১৪ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার চিটাগাং রোডে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমন হোসেন গাজী।
এ ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
১৭৭ দিন আগে
ইনু-মেনন, পলকসহ সাবেক আইজিপি মামুন রিমান্ড শেষে কারাগারে
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তৌফিক-ই-ইলাহীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তিন দফায় ১৬ দিনের রিমান্ড শেষে ইনুকে, দুই দফায় ১১ দিনের রিমান্ড শেষে মেননকে, তিন দফায় ২৩ দিনের রিমান্ড শেষে পলককে এবং ৮ দিনের রিমান্ড শেষে মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়।
খিলগাঁও থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সবাইকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
২৩৫ দিন আগে
পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
পৃথক দুই হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিন করে ছয় দিন এবং শামসুল হক টুকুসহ পাঁচজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
অন্যরা হলেন, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা
আইডিয়াল কলেজের ছাত্র সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস মিয়া।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সামসুল হক টুকু, আরিফ খান জয় ও মোহাম্মদ সোহায়েলের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে আদাবর থানার গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আহমদ হোসেন ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক।
আর জুনাইদ আহমেদ পলককে বাড্ডা থানায় সুমন সিকদার ও সূত্রাপুর থানায় ইকরাম হোসেন কাওসার এবং ওমর ফারুক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলামও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
গত ১৪ আগস্ট শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আহমদ হোসেন ও বনানী এলাকা থেকে সোহায়েলকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
কিশোরগঞ্জে হত্যার অভিযোগে হাসিনা, কাদেরসহ ৮৮ জনের নামে মামলা
২৪৬ দিন আগে
বিকাল ৩টা থেকে চালু হবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আজ বিকাল ৩টা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও গ্রাহকরা ৩ দিনের জন্য ৫ জিবি ইন্টারনেট বোনাস পাবেন বলে জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ফেসবুক তাদের পলিসি অনুযায়ী যেসব কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করে দেওয়ার কথা, সেগুলো সাবলীলভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। সেসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় এসে তাদের প্রতিনিধিকে সরাসরি ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সে পর্যন্ত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বন্ধ থাকছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছে বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা স্পষ্ট করে না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধে তাদের কার্যক্রম খুলে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।’
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি, চারটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশের (অ্যামটব) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এসময় আরও ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
গত শনিবার তিনি দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, তিনটি ডেটা সেন্টার ও কয়েকশ কিলোমিটার ক্যাবল পোড়ানোর কারণে ইন্টারনেট বিঘ্নিত হয়েছে।
এসব ঘটনায় শুধু টেলিযোগাযোগ খাতেই ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং সবমিলিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কিছু কিছু জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিকভাবে চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: পলক
২৮১ দিন আগে
মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাওনা টাকা শিগগিরই আদায় করা হবে: পলক
মোবাইল অপারেটরদের কাছে বিটিআরসি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাওনা আদায় প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের কাছে বেশকিছু টাকা পাওনা আছে। তার প্ররিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা শিগগিরই আদায় করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইটি-আইটিইএস খাতে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে: পলক
তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে সোমবার এনবিআর চেয়ারম্যান ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। মঙ্গলবার বিকালে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও বিটিআরসির প্রতিনিধিকে এনবিআরে পাঠাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনটা কোনটা বিচারধীন ও কোনটা কোনটা আদালতের বাইরে, তা আমরা সেটেলড করতে পারি এবং কোন মোবাইল অপারেটরের প্রস্তাব কী আছে- এগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, ১২ হাজার কোটি টাকা আমরা পাই। ১২ বছর ধরে তা পাওনা আছে। সেটার আবার একটা ইন্টারেস্টও আছে। এটা যদি এখনই আমরা সেটেলড করতে পারি তাহলে আমাদের লাভ হবে নাকি ১২ বছর পিছিয়ে গেলে লাভ হবে? এটা নিয়ে আমি আপনাদেরও (সাংবাদিক) মতামত চাই। কারণ এটা প্রকাশ্যে আলোচনায় এলে তখন আর প্রশ্ন থাকবে না।’
পলক বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা বিটিআরসি, এনবিআর আন্তরিক আছি। আমার আত্মবিশ্বাস, আমরা এই টাকাটা দ্রুত আদায় করতে পারব।’
আরও পড়ুন: দেশে ডেটা সেন্টার করতে ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটককে বাধ্য করা হবে: পলক
কক্সবাজারের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পলকের
২৯৩ দিন আগে