পলক
সব ডাকঘর স্মার্ট সার্ভিসে রূপান্তর করা হবে: পলক
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকার স্থানীয় ডাকঘরসমূহ স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এরফলে ডাকঘরসমূহ ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা দেবে। এর ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও জনগণ এসব স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিসেবাসহ সব ই-গভর্নমেন্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুলনার কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট সেন্টারে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট পোস্ট সেন্টার, কয়রা এই উদ্যোগের প্রথম যাত্রা। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় শিগগিরই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট সেন্টার বাস্তবায়ন করব।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা শুরু করেছি। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ‘জীবন (GBon)’ বিটিসিএলের লাইফ লাইন হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, এরই পথ বেয়ে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় তিন হাজার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার বনশ্রী এলাকার চার হাজার, বাবু বাজার এলাকায় ছয় হাজার, উত্তরা এলাকায় ১৮ হাজার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক হাজার, জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় ১০ হাজার, শেরে বাংলানগর এলাকায় ১৬ হাজার, রমনা এলাকায় ১২ হাজার, খিলগাঁও এলাকায় আট হাজার, নীলক্ষেত এলাকায় ১৪ হাজার, মিরপুর এলাকায় ১৫ হাজার, গুলশান এলাকায় ১০ হাজার, গেন্ডারিয়া এলাকায় তিন হাজার, যাত্রাবাড়ী এলাকায় তি হাজার, দিয়াবাড়ী এলাকায় ছয় হাজার, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আট হাজার, মগবাজার এলাকায় ২০ হাজার, বারিধারা এলাকায় ছয় হাজার এবং মুন্সীগঞ্জ জেলায় তিন হাজার ৬০০, গাজীপুর জেলায় চার হাজার, নরসিংদী জেলায় দুই হাজার ৩০০, মানিকগঞ্জ জেলায় তিন হাজার, টাঙ্গাইল জেলায় তিন হাজার, রাজবাড়ী জেলায় দুই হাজার ৩০০, শরিয়তপুর জেলায় তিন হাজার, ফরিদপুর জেলায় তিন হাজার, মাদারীপুর জেলায় তিন হাজার, কিশোরগঞ্জ জেলায় তিন হাজার ৬০০ সক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সেবা জীবন।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করল ঢাকা বিভাগ।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিমন্ত্রী ভাষা শহিদদের স্মরণে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ‘জীবনের’ বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এর আওতায় পাঁচ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্যে ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে, ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের আওতায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা হবে: পলক
ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের জন্য দেশে বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র্য ছেলে-মেয়েদের অত্যাধুনিক ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে নলেজ পার্টনারশিপ সমঝোতা স্মারক করা হবে। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) লিটারেসি ক্যাম্পেইন অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম আগা খান একাডেমিতে চালু করা হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরায় আগা খান একাডেমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদের শুধু উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাই আমাদের লক্ষ্য নয়, এর সঙ্গে তাদের সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, সমস্যা সমাধানকারী মানসিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়াও আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্র, এটুআইয়ের মুক্তপাঠ, এডুহাবসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তর অনেক চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও জ্ঞানের উপর নির্ভর করে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব এবং এই তিনটির উপর নির্ভর করেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
সরকারি-বেসরকারি সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে দেশে এআই পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পলক।
তিনি বলেন, এআই এর নেতিবাচক ব্যবহার কমানোর জন্য এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা একটি এআই আইন করতে চাই। যেটা এখনো ড্রাফটিং পর্যায়ে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি সব সেবা পেপারলেস-স্মার্ট, সব লেনদেন ক্যাশলেস এবং সবগুলোকে ইন্টার-অপারেবল, ইন্টার-কানেক্টেড ও অটোমেটেড করা হবে।
আগা খান একাডেমিকে রোল মডেল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন সম্ভব। পাশাপাশি আইসিটি অ্যাজ এডুকেশন এবং আইসিটি ইন এডুকেশনের ইউজ কেসের ব্যাপারে কাজ করা সম্ভব। এআই অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম, ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড এবং এডুকেশন ও নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক প্রতিনিধি মুনির মি. মেরালি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে ‘পঞ্চম চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় যে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চান। বিনিয়োগের অর্ধেকই চট্টগ্রাম থেকে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইপিজেড, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, হাই টেক পার্কে যদি কোন ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হতে পারে, তাহলে তারা অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে স্টার্ট আপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডেরে পক্ষ থেকে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ইক্যুয়িটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ থাকবে। এর সবকিছুই নির্ভর করছে রাইট সিলেকশন, রাইট মনিটরিং, রাইট সুপারভিশন ও ইনকিউবেশনের উপর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কোন মেধাবী, উদ্ভাবনী তরুণ-তরুণী যদি উদ্যোক্তা হতে চায়, তাদের যত ধরনের সুযোগ লাগবে সেটা সরকার, একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি একসঙ্গে মিলে তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের আইসিটি খাত থেকে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে এবং ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
এ খাতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং আরও নতুন ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে তিনটি উপহার দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমত ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চুয়েটে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ১০টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ২৫টি স্টার্ট আপ কোম্পানিকে ফ্রি স্পেস প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হলো চান্দগাও- এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার (৮ আইটি প্রকল্প) এবং তৃতীয়টি চান্দগাও এ নলেজ পার্ক (১২ আইটি প্রকল্প)।
এই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক চান্দগাও এ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা স্টার্ট-আপদের জন্য দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যে সকল স্টার্ট-আপ জায়গা বরাদ্দ পাবে, তারা প্রথম ৬ মাস ফ্রিতে কাজ করার সুযোগ পাবে। পরে পারফরমেন্স মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে যাচাইপূর্বক আরও ৬ মাস ফ্রিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ১৭ বছর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই ১৭ বছরে একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী ও সমস্যা সমাধানকারী নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজের দায়িত্বটা পালন করব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিলে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্টেপ ইন টু দ্য ফিউচার: রান ফর মিশন ২০৪১’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতা।
তিনি বলেন, স্মার্ট রান সম্পন্নের সময় যেমন ৭৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সময় ১৭ বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সকলের জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় সুস্থ স্বাভাবিক, বিশেষভাবে সক্ষম, নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, গ্রাম-শহর সকলকেই এই স্মার্ট রানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সুস্থ-সবল, অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল চেতনার দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা ও মানুষের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ নিয়ে সচেতনতা এবং উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ হতে শুরু হয়ে পুরো হাতিরঝিল ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ঘুরে এম্ফিথিয়েটারে এসে দৌড় প্রতিযোগিতাটি শেষ হয়।
এসময় নারী, পুরুষ,পঞ্চাশ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি- এই চার বিভাগে সবমিলিয়ে ২ হাজার ৪১ জন অপেশাদার দৌড়বিদ অংশ নেন।
সাড়ে ৭ কিলোমিটার দুরত্বের দৌড় ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সের দৌড়বিদরা।
আর ১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ান প্রতিবন্ধী দৌড়বিদরা। চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চার বিভাগে সবমিলিয়ে ১৯ জন বিজয়ীকে আর্থিক পুরস্কার, সনদপত্র ও মেডেল দেওয়া করা হয়।
পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন- মো. ইমরান হাসান, দ্বিতীয়- তোফায়েল আহমেদ, তৃতীয় - আশরাফুল আলম, চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে- দ্বীপ তালুকদার এবং পলাশ শেখ।
নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন- হামিদা আক্তার জেবা, দ্বিতীয়- মোছাম্মাৎ সামিয়া, তৃতীয়- সাদিয়া শাওলীন সিগমা। চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে- রিয়া আক্তার স্বর্ণা এবং হুমায়রা মনিশা।
পঞ্চাশোর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন -মো. ওয়াহাব খান, দ্বিতীয়- জসীম উদ্দীন, তৃতীয়- আমিনুর রহমান।
আর প্রতিবন্ধী বিভাগের ৩ ক্যাটাগরিতে (হুইল চেয়ার, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী) যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হন- আবু রায়হান, শিহাব বিশ্বাস ও জান্নাতুল নাঈম এবং দ্বিতীয় - তানভীর হোসেন, আলম দেওয়ান ও তানজিম হাসান।
এছাড়া সকল দৌড়বিদদের রেস জার্সি ও মেডেল দেওয়া হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ রান ইভেন্টে অংশ নেয়া দৌড়বিদদের উদ্বুদ্ধ করতে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বিভাগের দৌড়ে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ৬৮ মিনিটে দৌড় শেষ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুইটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডাকভবনের দপ্তরে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন পলক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সুস্থ স্বাভাবিক তরুণদের চেয়ে প্রতিবন্ধীরা কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল।
‘তারা (প্রতিবন্ধীরা) আমাদের ভাই ও বোন এবং তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (প্রতিবন্ধীরা) তাদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে: পলক
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে চাকরি মেলার উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বিশেষভাবে সক্ষমদের বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো প্রতিবন্ধী শিশু ঘরে থাকবে না। তারা পরিবার বা দেশের বোঝা হবে না। প্রতিবন্ধীদের একটু সহযোগিতা ও সুযোগ করে দিলে তারা দেশের সম্পদে পরিণত হবে এবং বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে নেতৃত্ব দেবে।’
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
পলক বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কেবল চাকরি মেলা হবে না, তারা উদ্যোক্তা হয়ে হাজার হাজার যুবকের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।
তিনি ‘এম্পোরিয়া (emporia.bcc.gov.bd)’ পোর্টাল ব্যবহারের আহ্বান জানান, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ঘরে বসেই দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। একই সঙ্গে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালককে এনজিওতে চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান এবং সিএসআইডির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন: পলক
৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ: পলক
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ছয়টি প্রকল্পে চীনের কাছে নতুন করে বাংলাদেশ আরও এক বিলিয়ন ডলার চায় বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি চীনের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায়।
আরও পড়ুন: টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে: পলক
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমরা ছয়টি প্রজেক্ট ইআরডির মাধ্যমে চাইনিজ সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। মডার্নাইজেশন অব আরবান অ্যান্ড রুরাল লাইফ নামে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প।
তিনি আরও বলেন, ‘আর একটি আছে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং আমাদের বিটিসিএল টেলিফোন শিল্প সংস্থা এবং কম্পিউটার কাউন্সিলের আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট চেয়ে ছয়টি প্রজেক্ট আমরা জমা দিয়েছি।’
আগামী পাঁচ বছরে সরকারি বিনিয়োগ পাওয়ার আশাবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই ক্ষেত্রগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। রাষ্ট্রদূত আমাকে কথা দিয়েছেন তিনি তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের পাশে আগামী পাঁচ বছর থাকবেন। যাতে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের একটি শক্ত ভিত্তি এই পাঁচ বছরে আমরা তৈরি করতে পারি।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ছয়টা প্রজেক্টে গত ১০ বছরে এক বিলিয়ন ডলার আমরা চাইনিজ লাইন অব ক্রেডিট থেকে ব্যবহার করেছি। সেখান থেকে আয় করে আমরা এখন ঋণটা ফেরতও দিচ্ছি।
পলক আরও বলেন, আমরা চাইনিজ সরকার, চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এবং চাইনিজ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির বিনিয়োগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশ-চায়না ইনভেস্টমেন্ট সামিট করব। সেটার ব্যাপারেও কথা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা স্মার্ট ইকোনোমি এবং ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজিক এমওইউ করব। সেখানে আমাদের চারটি লক্ষ্য আছে- রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন। এই চারটি এরিয়াতে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে: পলক
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, স্মার্ট টেশিসের জন্য স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
আয় বৃদ্ধি ও অপচয় কমিয়ে আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে তিনি নির্দেশনা দেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীতে টেশিসের দোয়েল ল্যাপটপ, টেলিফোন সেট, বৈদ্যুতিক স্মার্ট মিটার অ্যাসেম্বল প্লান্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
টেশিসকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেয় অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় পরবর্তী সেবা এসব জায়গাসমূহে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে দোয়েল ল্যাপটপ যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তা সফলজনকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। মেড ইন বাংলাদেশ পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে রপ্তানি করতে টেশিস ব্যর্থ হলো। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৯৪টি কম্পোনেন্টের ওপর ইমপোর্ট ডিউটি কমিয়ে দেওয়ায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। ল্যাপটপ কারখানা হয়েছে ও ভালো করছে।
টেশিসকে লাভজনক অবস্থায় উন্নীত করার কৌশল তুলে ধরে পলক বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটে আমরা রাজস্ব বাড়াতে চাই, অপচয় কমাতে চাই। আগামী পাঁচ মাসে আয় বাড়াতে পারলে আমরা লাভজনক অবস্থায় যাব। আয় বাড়াতে না পারলে ব্যয় কমাতে হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় হচ্ছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি পেশায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করেছি।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে: পলক
আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আইসিটি খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
তিনি বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ-ভারতকে উন্নত, সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করার জন্য একযোগে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার আমাদের স্টার্টআপে বিনিয়োগ হয়েছে। এর বেশিরভাগই এসেছে আমেরিকা, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে। আর কিছু অংশ এসেছে জাপান থেকে।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের খুব কাছের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারতের প্রায় দেড় বিলিয়ন জনগোষ্ঠী। আমাদের একটা পণ্য যদি ভারতে নিতে পারি, তাহলে এটি আমাদের কাছে বিশাল মার্কেট হবে। সেটা হার্ডওয়ার হোক কিংবা সফটওয়ার হোক।
সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ৫ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। ভারতের একটি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল তিন মাস আগে বাংলাদেশ সফরে এলে এ বিষয়ে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি বলে আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ এককভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। নৌপথে, আকাশপথে দুই দেশ যেমন একসঙ্গে কাজ করে, তেমনি সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণে লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় ১৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এসব হাইটেক পার্ক ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। রপ্তানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: পণ্যের দাম বেশি হলে ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন: পলক
এছাড়াও ডেটা সেন্টার নির্মাণ, ডাক, টেলিকম ও আইসিটির বেসরকারি খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ সেতুবন্ধন ত্বরান্বিত করতে আরও মনোযোগ দেওয়া হবে। বিপরীতে ডিজিটাল ভারত বিনির্মাণে বাংলাদেশ দেশটির পাশে থাকবে। আর ভারত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আইসিটি খাতের নানা বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভারত পাশে থাকবে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, তরুণদের কীভাবে আরও প্রযুক্তিনির্ভর ও কর্মমুখী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট কীভাবে করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ১০ বছরের বেশি পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে দু’দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে: পলক