বুয়েট
বুয়েটের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম বদরুজ্জামান
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চার বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বাতিল করে ‘এডহক’ কমিটি গঠন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ড. বদরুজ্জামান তার বর্তমান পদবী অনুযায়ী সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক বসবাস করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর প্রয়োজনে নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এছাড়া বুয়েটের উপউপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী।
আরও পড়ুন: দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ইউএনডিপির
২ মাস আগে
উগ্রবাদীদের হুমকির পর নিরাপত্তা চাইলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে উগ্রবাদী ও মৌলবাদী সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী।
তারা জানান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও সাম্প্রদায়িক উসকানিতে অভিযুক্ত এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত পেজ বাঁশেরকেল্লা, টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের নাম ও ছবি প্রচার শুরু করেছে।
অতীতে এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার সঙ্গে এর মিল রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এসব হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কারণ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
শুক্রবার বুয়েটের শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে হুমকির স্ক্রিনশটগুলোসহ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল আলম, অরিত্র ঘোষ, সাগর বিশ্বাস জয় ও অর্ঘ্য দাস এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নিল ও মিশু দত্ত।
কয়েকদিন আগে তারা উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন, যেখানে তারা ২১ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেন, যারা একই ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন।
তারা বলেন, ‘মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় অতীতে আমাদের ওপর মৌখিক আক্রমণ হয়েছে, যা স্পষ্টতই মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।’
২০১৩ সালে পৃথক হামলায়, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়। এক ছাত্র নিহত ও অপর একজন বেঁচে যান। শিবিরের হামলার শিকার হওয়া এই দুই ছাত্রনেতা মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা আরও বলেন, তন্ময় আহমেদ ও আরিফ রায়হান দীপ নামে ওই দুই ছাত্রনেতার ওপর হামলার আগে বাঁশেরকেল্লা ও আমার দেশ পত্রিকা 'ইসলামের শত্রু' আখ্যা দিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালিয়েছিল।
হলের ভেতরে মৌলবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে দীপ মারা গেলেও তন্ময়কে শিবির কর্মীরা নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
এসব হামলার কথা স্মরণ করে তারা বলেন, 'আমাদের পূর্বসূরীদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন তৈরি হয়। দুজনেই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং এই দলগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। একই ভাবে বাঁশের কেল্লা আমাদের টার্গেট করেছে। আমাদের বিস্তারিত তথ্যসহ পোস্টগুলো এরই মধ্যে টেলিগ্রাম চ্যানেলের মতো বিভিন্ন যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে এই দলগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে।’
প্রত্যন্ত অঞ্চলে বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীসহ শিবিরের ৩৪ জন নেতা-কর্মীর গোপন বৈঠকের খবরের বরাত দিয়ে তারা বলেন, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তারা ছাত্রদের নিয়ে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।’
‘এমনকি কিছু ফেসবুক গ্রুপেও আমরা দেখতে পেয়েছি যে, আমাদের নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করা হয়েছে এবং আমাদের কিছু সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে টার্গেট করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর পোস্টগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জঙ্গিদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই স্থান ব্যবহার করছে, এই কর্মীদের জড়িত থাকার আরও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
৭ মাস আগে
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, উদ্বেগ ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। যে কারণে (আবরার ফাহাদ হত্যার) বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারা দেখবে এমন পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত আছে কি না এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিএনপি নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আহত দেওয়ান শাহিনকে দেখতে গিয়ে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজনের হামলায় দেওয়ান শাহিন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ ছিল।সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মানিক ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ উদযাপন করেছিলেন। ‘এটি জাতির জন্য কলঙ্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই লজ্জাকে অলংকার বলে মনে করে।’
প্রশাসনের মদদে তারা বেপরোয়া আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নৃশংসতা চালিয়ে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে নাটোর বিএনপি নেতারা আ. লীগের নেতা-কর্মীদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ‘নিপীড়ন সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে ছাড়েনি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের যে দৃশ্য, নাটোরেও একই রকম।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
আওয়ামী লীগকে একটি বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা (আ. লীগ) রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বর্বরতার জবাব দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য সরকার অপেক্ষা করছে। ‘আমার ধারণা গণভবনে তার মৃত্যুর খবর শুনলেই মিষ্টি বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের কিছু আশা করার নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা যা করছে তা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
৭ মাস আগে
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
৭ মাস আগে
বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬৮৯ জন শিক্ষার্থী। তবে মেধাক্রম অনুযায়ী বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাবেন মাত্র ১ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে প্রথম হয়েছে নটরডেম কলেজের ছাত্র আদনান আহমেদ তামিম এবং একই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ হয়েছে।
তবে চূড়ান্ত মেধা তালিকায় তৃতীয় হয়েছে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র সুদীপ্ত পোদ্দার।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
মঙ্গলবার বুয়েটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তালিকা www.buet.ac.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১০ মার্চ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রধান ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তির মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: জেনেক্স’র কারিগরি সহায়তায় বুয়েটে চালু হচ্ছে পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন
৮ মাস আগে
‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আমলাতন্ত্রই বড় বাধা’
ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আমলাতন্ত্রই বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অচিরেই বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ করা জরুরি। গত ২০-২৫ বছরে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরিতে প্রচুর অর্থ খরচ করা হলেও প্রস্তুতিতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে গলদ আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই এক্ষেত্রে বড় বাধা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি রোধে করণীয় নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
মেহেদী আহমেদ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে সবাই আমলা। সেখানে কোনো ইঞ্জিনিয়ার বা জিওলোজিস্ট নেই। আমলারা দক্ষ জনবলের কথা আমলে নিই না। রাজউকে এখনও অনিয়ম রয়ে গেছে। এখানে দুর্নীর্তি হচ্ছে, টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বিগত সময়ে যে দুনীর্তি হয়েছে আজ তা সংশোধন করা কঠিন। ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেমের (ইসিপিএস) মাধ্যমে রাজউকের নকশার অনুমোদন শুরু করা ইতিবাচক। কিন্তু এক্ষেত্রে এখনও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ঢাকা শহরে ২১ লাখ ভবনের মধ্যে অকুপেন্সি সনদ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭০-৮০টিকে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেও ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নগরের ৬৫ শতাংশ ভবনই দুর্বল মাটির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। যা ভবন নিরাপত্তা ঝুঁকির অন্যতম কারণ। ভবন নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না তা নজরদারিতে ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। নির্মাণ শেষে বিল্ডিংয়ের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট পেতেও বেশ কষ্ট হয়। এমনকি নকশা অনুমোদন ও বিল্ডিং কোড মানার ক্ষেত্রে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। ভবন নির্মাণের অনিয়মের সঙ্গে ভবন মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত।
চৌধুরী কিরণ আরও বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়, দেশের সব জায়গায় ভবন নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যতক্ষণ পর্যন্ত ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, তবে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই। ভবন মালিকের ক্যাপাসিটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ দফা সুপারিশ করেন। যথা-
১) বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা
২) ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহশীলতা নির্দেশিকা মানতে বাধ্য করা
৩) ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা চিহ্নিত করে এগুলোকে ভূমিকম্প সহনীয় করা
৪) ভবন নির্মাণে সব উপকরণ পরীক্ষার জন্য রিসার্চ, ট্রেনিং ও টেস্টিং ল্যাবরটরি স্থাপন নিশ্চিত করা
৫) ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো
৬) ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জানানো
৭) প্রতি তিন মাস পরপর ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের সমন্বয় ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং মহড়া নিশ্চিত করা
৮) ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় রোধে ভবনের অনুমোদিত নকশা অনলাইনে দেওয়া
৯) বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা
১০) রাজধানীর প্রতি ওয়ার্ডে আরবান রেসকিউ টিম তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষিত করা।
‘ভবন মালিকদের দায়িত্বশীলতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে’- শীর্ষক ছায়া সংসদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক শাহরিয়ার অনির্বাণ ও স্থপতি সাবরিনা ইয়াসমিন মিলি।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় গাজীপুরের বশেমুরকৃবি
১১ মাস আগে
‘ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া
চলতি বছরের মর্যাদাপূর্ণ ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) ২৮তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়ার হাতে যৌথভাবে এই পুরষ্কার তুলে দেন রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) মহাপরিচালক ও রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো আরিয়াস এবং ডাচ সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত হেঙ্ক ভ্যান ডার কোয়াস্ট।
এবছর ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কারের আরও সহ-প্রাপক ছিলেন আফ্রিকান সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির পরিচালক হুবার্ট কে ফয় এবং সুইজারল্যান্ডের স্পিজ ল্যাবরেটরি।
আরও পড়ুন: এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
ওপিসিডব্লিউ ২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে সম্মেলনের উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সারাবিশ্বের ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানকে তাদের স্বতন্ত্র কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ড. রাজিয়া এই পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশে রাসায়নিক সুরক্ষা এবং সুরক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখা এবং এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসাবে ভূমিকা রাখার জন্য ড. রাজিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছে ওপিসিডব্লিউ।
তিনি ওপিসিডব্লিউর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং 'রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত সুরক্ষিত বিশ্ব’ করার জন্য নতুন ধারণা তৈরিতে অবদান রেখেছেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে আদালতে আপিলের রায়ে জিতেছেন হংকংয়ের পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক
১১ মাস আগে
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শপথ নিল শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জ টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও জামিনে মুক্ত হওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার পর নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার শপথ নিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে বুয়েটের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং এই শপথ গ্রহণ করে।
শপথে বলা হয়, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য আমার উপর অর্পিত সমস্ত ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব যথাসাধ্যভাবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমি সকল অন্যায় ও বৈষম্য সম্পর্কে সচেতন এবং তার বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব।’
শিক্ষার্থীরা শপথে আরও বলেন, ‘আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে আমরা সম্মিলিতভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ধরণের সন্ত্রাসবাদ এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে প্রতিরোধ করব। আমরা নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরণের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মূলোৎপাটন করব। যাতে আর কোনও নিরপরাধ প্রাণ হারায়। এখন থেকে কোনো নিরপরাধ ছাত্র যাতে নির্যাতনের শিকার না হয় তা আমরা নিশ্চিত করব।’
শপথ গ্রহণের পর একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
সুনামগঞ্জ থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছি এবং কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হয়, তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।’
তারা বলেন, ‘আবারও, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদ হত্যার তদন্তের সময় র্যাগিং এবং অসহযোগিতার জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া আশিকুল ইসলাম বিটুকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেছি। আমরা এমন একজন কুখ্যাত ব্যক্তির সঙ্গে ক্লাস করব না এবং যদি বুয়েট কর্তৃপক্ষ তা করে। দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা ক্লাস বর্জন করতে দুবার ভাবব না।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
১ বছর আগে
বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি ক্লাসে অংশ নেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযুক্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম বিটু, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২১ সালের ২২ মে বিটু কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ করায় রবিবার (০৬ আগস্ট) পর্যন্ত তিনি আর ক্লাসে আসেননি। কিন্তু রবিবার তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে আরেকটি ক্লাসে যোগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও এর প্রতিবাদ জানায়।
তার নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'এটা নিশ্চিত যে বিটু আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এবং জড়িত ছিল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সে ক্লাসে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ভাইয়ের খুনির সঙ্গে ক্লাসে যাওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জার।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিটু র্যাগিংয়ের জন্য কুখ্যাত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির জেল আপিল গ্রহণ
আবরার হত্যা: খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেতুর হাইকোর্টে আপিল
১ বছর আগে
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: বুয়েটের অধ্যাপক নিখিলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে জামিনে থাকা নিখিল রঞ্জনধরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ২ দিনব্যাপী 'রোবো কার্নিভাল' শুরু
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
এর আগে, গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে