সোমবার রাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাগিংয়ের কারণে কোনো ছাত্রের মৃত্যু হলে, গুরুতর শারীরিক ক্ষতি বা প্রতিবন্ধিতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে কিংবা শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা।
এতে আরও বলা হয়, বুয়েটে কেউ সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি করলে সর্বোচ্চ সাজা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িত থাকলে, রাজনৈতিক পদে থাকলে, রাজনীতি করতে কাউকে উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করলে অপরাধ সাপেক্ষে শাস্তি সতর্কতা, জরিমানা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোন মেয়াদে বহিষ্কার।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাগিংয়ের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে কয়েক ধাপে। র্যাগিংয়ের পরোক্ষ অংশগ্রহণ কিংবা র্যাগিংয়ের সময় উপস্থিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগতদের কোনো কাজ করতে বাধ্য করার মত ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে সতর্ক করা, জরিমানা করা, হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা যাবে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম এবং আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করে।
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার পর আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির সবকটি পূরণ হলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিন দফা দাবি আদায়ে প্রায় দুই মাস ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বুয়েটে।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) গত ৬ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কয়েকজন নেতাকর্মী।