দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়, সেগুলো সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকার শুধু কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার নেই।’
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত ট্রাস্টি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন— উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষরা যদি চলে যান বা জোর করে বের করে দেওয়া হয়, তবে এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক তৈরি করে।’
‘(বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে) এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে—পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার চেয়ে এটি বড় আইনি চ্যালেঞ্জ।’
এ ধরনের সমস্যাগুলো আদালতে আইনি পথে সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসব ঘটনায় শিক্ষার্থীদের হতাশার কথা স্বীকার করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশেষ করে তারা প্রত্যাশা করে যে এসব বিষয় সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা (শিক্ষা) উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ থাকা উচিত। শিক্ষার্থীরা মনে করে, এটা তো শিক্ষার ব্যাপার, তাই শিক্ষা উপদেষ্টা সব ঠিক করে দেবেন। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে কীভাবে কী করব অনেক সময় তা বোঝা যায় না।’
এর আগে, ৯ দফা দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিরসনে একজন নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করা।
সেদিন সচিবালয়ের ফটকের কাছে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।