থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন এবং দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ।
আলোচনা পর্বে হাসনাত আহমেদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের তাৎপর্য, বঙ্গবন্ধুর কারাভোগ, মুক্তি, লন্ডন ও ভারতে যাত্রা বিরতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বল্প সময়ে ভারতীয় সেনাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো নিশ্চিত করণ ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙ্গালির স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় ৪ নেতাসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং উপস্থিত সবাইকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন, পাকিস্তানি শাসকবর্গের নির্মমতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক আতিথেয়তা, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বঙ্গবন্ধুর জাতির উদ্দেশে সদ্য স্বাধীন দেশ গঠনে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম অবতরণস্থল তেজগাঁও বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় অদূর ভবিষ্যতে একটি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. মাসূমুর রহমান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী