সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) বাস্তবায়নে এবং দেশের সমুদ্রসীমা থেকে প্রতিটি সম্পদ আহরণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফররত এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ভালো করছে এবং দেশে বিপুল সংখ্যক ভালো গবেষক থাকলেও কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা কামনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে বিশেষ করে আমাদের নিজস্ব পণ্যের বড় বাজার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি কৃষিপণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষিকে অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য। এর সঙ্গে শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। কৃষিকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে আমরা শিল্পায়নের পক্ষে।’
শেখ হাসিনা ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা শক্তিশালী করতে এডিবি’র কাছে লজিস্টিক সহায়তাও চেয়েছেন।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে সরকারের বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, হত দরিদ্রের অবসান ঘটানো, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদায় উন্নীত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে দারিদ্র্য দূর করা।
নদীর সরবরাহ, ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং সহ সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে তিনি এডিবির প্রতি আহ্বান জানান।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, এডিবি নগর ও পানি নীতিতে তাদের সহায়তা মোট সহায়তার ১৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৬ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এডিবি বৃহত্তর ক্ষেত্রে কৃষি গবেষণায় সহযোগিতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য প্রকল্প ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।
তিনি বলেন, এডিবি তাদের নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।
এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এডিবি বিদ্যমান সম্পদের আরও ভালো ব্যবহারে বাংলাদেশের জন্য একটি সিটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে চায়।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের উপজেলাগুলো বিবেচনা করতে বলেন। কারণ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী