সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তবে অন্যান্য মামলা থাকায় কারাগারেই থাকতে হবে তাকে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আদালতে তুলে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, বিচারপতি মানিকের আইনজীবী আদালতে এই মামলায় জামিন আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত। তবে তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলা থাকায় তাকে সিলেট কারাগারেই রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে।
সিলেট সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জমশেদ আলী জানান, এর আগে সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় একটি জঙ্গল থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কানাইঘাটের মামলায় মানিকের আদালতে হাজিরার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
২৪ আগস্ট আদালতে নেওয়ার সময় বিচারপতি মানিককে মারধর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে হার্টের সমস্যার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন শামসুদ্দিন মানিক। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করিয়েছিলেন।
ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর মানিককে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে সাবেক বিচারপতি মানিক