শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সপ্তাহান্তে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
কাকরাইল, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, ফার্মগেট, বাড্ডা, মগবাজার, মিরপুর ও খিলক্ষেত এলাকায় গোড়ালি সমান পানি পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে অনেককে।
বৃষ্টির পানিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিনে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিকল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গাড়িচালকরা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রান্নাঘরের জিনিসপত্রের ক্রেতা-বিক্রেতা, ছুটি কাটাতে বাড়ি ফেরার যাত্রী ও সকালে ব্যায়াম করতে যারা বের হয়েছেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
প্রাইভেটকার চালক শাহ আলম জানান, তিনি গুলশান যাওয়ার জন্য সকাল ৭টার দিকে মৌচাকের বাসা থেকে বের হলেও জলাবদ্ধতার কারণে মৌচাকের একটি গলিতে প্রায় ৪০ মিনিট আটকা পড়েন।
নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসরকারি চাকরিজীবীরা বলেন, হালকা বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলো সাধারণত তলিয়ে যাওয়ায় শহরটি ধীরে ধীরে বসবাসের অযোগ্য নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বৃষ্টির ফলে রাস্তায় গণপরিবহনের উপস্থিতি কম ছিল, বিশেষত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের গন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
জলাবদ্ধতার সুযোগ নিয়ে রিকশাচালকরা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন বলে কয়েকজন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তারিফুল নেওয়াজ কবির ইউএনবিকে বলেন, তারা সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।