এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি) এম জামাল হোসেন স্বাক্ষরিত বিভিন্ন শাখায় পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমরা সবাই অবগত আছি। এই পরিস্থিতি এই রকমও থাকতে পারে আবার উন্নতিও হতে পারে। পরিস্থিতি যাই হোক আমাদের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় কৌশল নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।’
এনবিআরের এ সদস্য ভ্যাট আদায়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করার ওপর জোর দিতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ প্রেক্ষাপটে বেশি রাজস্ব প্রদান করে এমন আইটেমের (সিগারেট, মোবাইল, ব্যাংক, বিকাশ, ইন্টারনেট, মেডিসিন ইত্যাদি) উপর নির্ভর করতে হবে।
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। এছাড়া উৎসে কর্তিত ভ্যাট আহরণ ও বকেয়া রাজস্ব আদায়ে বিশেষ মনোযোগী হতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর মাত্র এক মাস ১৯ দিন বাকি আছে। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভ্যাট এর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এদিকে এপ্রিল-২০২০ পর্যন্ত আমাদের আহরিত রাজস্বের পরিমাণ মাত্র ৬৭ হাজার ৭৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
যেখানে গত বছরেও এ খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সমান রাজস্ব আহরণ করতে হলে চলতি বছরের বাকি দুই মাসে ১৯ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে হবে বলে জানান জামাল হোসেন।
এদিকে, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে মে ও জুন মাসে এনবিআরকে ৪০ হাজার ৮৪০ কোটি ২৪ লাখ টাকা আহরণ করতে হবে, বলেন তিনি।
অন্য এক চিঠিতে জামাল হোসেন বলেন, ভ্যাট প্রদানকারীর ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার সুবিধার্থে জু্মার নামাজের বিরতি দিয়ে শুক্রবার (১৫ মে) সারাদেশে ভ্যাট সার্কেল অফিস পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী এপ্রিলের ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়া শেষ তারিখ হলো ১৫ মে। সরকারি ছুটির দিন হলেও, এদিন সারাদেশের ভ্যাট সার্কেল অফিসগুলো বিকেল চারটা পর্যন্ত (বা প্রয়োজনে এর বাইরেও) খোলা থাকবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সব সতর্কতা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেবেন, কমিশনাররা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন।