শনিবার রাতে প্রকল্পের বাংলা ক্যাম্পস্থ কোরিয়ান ক্যাম্পের পাশের এ ঘটনায় আহত ক্যাম্প ম্যানেজার মো. সালাহউদ্দিনকে গুরুতর অবস্থায় চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সালাহউদ্দিন জানান, স্থানীয় যুবক সোহেলের নেতৃত্বে ৬-৭ জন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা করে। তার আগে একাধিকবার শাহাদত নামে অপর এক ব্যক্তি তাকে প্রকল্প ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত দেশি-বিদেশি চাকরিজীবীদের খাবার সরবরাহসহ তাদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কসমস গ্রুপ। গ্রুপের কোরিয়ান ক্যাম্প ম্যানেজার সালাহউদ্দিনকে কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। যার জের ধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে তার মাথা ও পিঠে মারাত্মক জখম হয়। পরে তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
কসমস গ্রুপের লোকেশন ইনচার্জ ফখরুল জামান বলেন, ‘প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দেশের এ মহা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানি ও গ্রুপ কাজ করছে। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসীর কারণে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’
‘এদের চিহ্নিত করে পুরো মাতারবাড়ী এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত করা না হলে দেশীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ ছাড়াও বিদেশি গ্রুপ ও বিদেশি কর্মীদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে,’ যোগ করেন তিনি।
কোরিয়ান ক্যাম্পের সহ-সুপারভাইজার ইমাম হোসেন জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এখানে চাকরি করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসীদের দমন করা সম্ভব না হলে অনেকে কাজ না করে এখান থেকে চলে যেতে পারেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাস কুমার চন্দ্র ধর জানান, এ ঘটনার খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।