তিনি বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। গত দুই বছরে মাদক সাম্রাটদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় থাকাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ একটি টিবিসি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জঙ্গি সন্ত্রাস যেভাবে দমন করতে পেরেছি, মাদকও সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে তরুণদের একটি সুখি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে চায় . . . সে লক্ষ্যে সরকার কাজও করে যাচ্ছে।’
মাদকের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের সরবরাহ ও চাহিদা কমিয়ে এবং চিকিৎসা শেষে মাদকসেবীদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্নভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘মাদকের ব্যবহার কমানোর জন্য আমরা স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছি।’
এছাড়া পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাদকের সরবরাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ইয়াবা তৈরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি করছে না। প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা একটি ছোট জায়গায় বসবাস করে এবং সেখানে নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, তারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকতে পারে।’
মিয়ানমার সীমান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ সীমান্তে একটি সড়ক নির্মাণ করা হবে এবং শিগগিরই ওই সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।