অব্যাহত
নাগরিক সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে: ডিএসসিসি প্রশাসক
সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নাগরিক সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনিযুক্ত প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শের আলী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, একটা বিশেষ প্রেক্ষাপটে সরকার আমাকে ডিএসসিসির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে আজ সহকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
আরও পড়ুন: শেখ সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএসসিসির নবনিযুক্ত প্রশাসক এ কথা বলেন।
প্রশাসক বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে কাজে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা, সে বিষয়ে অবহিত হয়েছি। সেগুলো বিশেষ করে নাগরিক সেবা আরও সুন্দরভাবে, আরও দক্ষতার সঙ্গে জনগণকে প্রদানের দিকনির্দেশনা দিয়েছি।’
এছাড়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে অব্যাহতভাবে সেসব সেবা প্রদান করতে পারব বলে আমরা আশা করছি বলে জানান ড. মোহাম্মদ শের আলী।
তিনি বলেন, যে সেবাগুলো ডিএসসিসি থেকে দেওয়া হয়, সেগুলো অব্যাহত আছে ও অব্যাহত থাকবে। কাউন্সিলরগণের মাধ্যমে যে সেবাগুলো দেওয়া হয় সে বিষয়গুলোর কি হবে এবং কাউন্সিলরদের অবস্থানের বিষয়ে সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কাউন্সিলরদের যে অফিসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে অফিসগুলোর বিষয়ে আমরা নজর দিচ্ছি। যাতে করে সেবাগুলো আমরা আরও সুন্দরভাবে দিতে পারি। আমরা আশা করছি, সাম্প্রতিক সময়ের কোনো বিষয়ই নাগরিক সেবাদান কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না। সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল সেটি দূর হয়েছে। এখন আমরা কেন্দ্রীয় সার্ভারের এই সেবা দিচ্ছি। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স বা অন্যান্য সেবা প্রদানে আমরা সর্বোচ্চ ওয়াকিবহাল।’
শের আলী বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কারণে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানসহ অন্যান্য সেবা প্রদান কার্যক্রমে কোনো ধরনের সমস্যা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: এবার কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহারের নামে সাংবাদিকের মামলা
রাজস্ব বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান
৩ মাস আগে
দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, “আমি যখন অভিযান শুরু করেছি, তখন দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেব না, তারা যেই হোক না কেন বা তাদের অবস্থান যাই হোক না কেন। এমনকি আমি এটাও বিবেচনা করব না, কে আমার কাছের বা কে নন। যেহেতু আমি 'জিরো টলারেন্স' নীতি ঘোষণা করেছি সেহেতু এটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করব।”
আরও পড়ুন: আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে তার সাম্প্রতিক দ্বিপক্ষীয় সফরের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনিয়ম দূর করে দেশকে একটি সুস্থ ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই অভিযান চালানো হলে আমার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, এটা আমি মনে করি না। না, আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এখন বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির বিষয় সম্পর্কে জনগণ জেনে গেছে।
তিনি বলেন, ‘অতীতে কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এভাবে অভিযান চালায়নি।’
তিনি বলেন, তার সরকার আগেই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সামাজিক এই অভিশাপের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে এটি করেছি। এখন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং এটি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাড়িতে আগে কাজ করা একজন পিয়ন এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক এবং হেলিকপ্টার ছাড়া চলতে পারে না। তিনি এটি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের মামলার বিচারেরও সমালোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বাড়ছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দেড় হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনা খাবারসহ ত্রাণ ও সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
৫ মাস আগে
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং
গ্যাস সংকটের জন্য ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে
সোমবার আগের দিনের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকলেও মঙ্গলবার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি দেখা দেয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দিনের ব্যস্ত সময়ে বিকেল ৩টায় দেশে ২১০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়। সে সময় ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
যেকোনো সময়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ এবং তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্য হলো লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে চাহিদা ১৭,৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠবে এবং লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২,২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, দেশে অন-গ্রিড স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট, তবে জ্বালানি ঘাটতি এবং প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির কারণে এর প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট বর্তমানে হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এনএলডিসির তথ্য উল্লেখ করে ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্যাসের ঘাটতির কারণে প্রায় ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।’
নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে আরও ২ হাজার ১৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ২ হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে তারা প্রতিদিন ১ হাজার ২৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রধান শিকার কারণ অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তার মতে, ‘গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয়। যেকোনো বিপত্তি হলেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ফিরে পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকা অঞ্চলে ৩৬০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ১৬৫ মেগাওয়াট, খুলনায় ১৩২ মেগাওয়াট, রাজশাহীতে ১৮২ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ২৪৫ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ২৭৫ মেগাওয়াট, সিলেটে ৪৪ মেগাওয়াট এবং রংপুরে ১৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
৭ মাস আগে
আরও ৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে তাপপ্রবাহ: বিএমডি
ঢাকাসহ ছয়টি বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
এদিকে রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগ এবং রংপুর ও নীলফামারী জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পশ্চিমবঙ্গের নিম্নচাপের বর্ধিতাংশ এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি লঘুচাপ অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
৮ মাস আগে
বিপিএল ২০২৪: চট্টগ্রামের জয়ের ধারা অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৩তম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪ বল বাকি থাকতেই ১৭.৪ ওভারে ১৩৮/২ পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।
তানজিদ হাসান ৪০ বলে ৫০ রান করেন। টম ব্রুস ৪৪ বলে ৫১ রানের সুবাদে অপরাজিত থাকেন এবং তার দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
এর আগে সিলেটের স্ট্রাইকার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭/৪ সংগ্রহ করে। হ্যারি টেক্টর ৪২ বলে ৪৫ ও জাকির হাসান ২৬ বলে ৩১ রান করেন।
চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বিলাল খান।
এটি চ্যালেঞ্জার্সের জন্য টানা তৃতীয় জয় ছিল এবং এর সঙ্গে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল।
তবে খুলনা টাইগার্স যদি দুরদান্ত ঢাকার বিপক্ষে পরের ম্যাচটি জিতে যায় তবে তারা শীর্ষস্থান থেকে চ্যালেঞ্জার্সকে হটিয়ে দেবে।
চ্যালেঞ্জার্স শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করার পথে থাকলেও চার ম্যাচে চারটি পরাজয় সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য কাজটি কঠিন করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: নারী ত্রিদেশীয় সিরিজ: পাকিস্তানকে ৩৬ রানে হারিয়ে জয় বাংলাদেশের মেয়েদের
বিপিএল ২০২৪: আভিশকার ক্যারিশমায় বরিশালের বিপক্ষে জয় পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
১০ মাস আগে
ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এ দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বিমান চলাচল ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় এবং এ বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন পারমিট করবে তখনই বাংলাদেশ কিনবে।
বিমান কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রয়ের বিষয়ে এ ধরনের 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয় না।
দুই রাষ্ট্রদূত নিজ নিজ সরকার প্রধানের অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ দুটি দেশই বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদার। আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে এরই মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে দুই দেশ এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতিসহ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
মেরি মাসদুপুই আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করতে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ মহাসচিবের অ্যাকশন ফর পিসকিপিং এজেন্ডার সাতটি অগ্রাধিকারের প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূলে আমাদের নীতিগত অবস্থান পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। এই অবস্থান ধারাবাহিকভাবে শান্তির সংস্কৃতি প্রচার, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তাসহ জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে আমাদের বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করে।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঘানার আক্রায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্যানেললিস্ট হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করা।
মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে শান্তিরক্ষার অঙ্গীকার করেন।
এর আগে মোমেন আক্রায় হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
১ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস গুইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
১ বছর আগে
আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবেন।
তিনি যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের নীতি খুবই পরিষ্কার। আমরা হস্তক্ষেপ করি না। আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা আসবে এবং আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, 'সংবিধান ও আইনের' ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত 'বিআরআই@১০: আশরিং ইন নেক্সট গোল্ডেন ডিকেড' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট একটি দেশ নিজেকে বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করলেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় : চীনা রাষ্ট্রদূত
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চ্যাংলিয়াং। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীলতা চাই। আমরা আশা করি, চীনের জনগণ ও সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে। এখন পর্যন্ত আমরা নিরাপদ বোধ করছি। যে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ।’
তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের প্রাক-নির্বাচনের বছর। গণমাধ্যমের অনেক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করতে আসেন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চীনের পর্যবেক্ষণ কী। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির বিষয় হিসেবে চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী যে কোনো শক্তির বিরোধিতা করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ। চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
আরও পড়ুন: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে