জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাস করা হয়েছে। এতে মামলাজট কমাতে বিদ্যমান আইনে একটি কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনে ট্রাইব্যুনালের বিধান রয়েছে। জেলা পর্যায়ে সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজকে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে।
খসড়া আইন অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা জজ আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারেন।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, এ ধরনের বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার প্রতিটি জেলায় একজন যুগ্ম জেলা জজকে জেলার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ক্ষমতায়ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: রংপুরের শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত যুগ্ম জেলা জজ উপ-ধারার অধীনে নিযুক্ত ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে গণ্য হবেন।
এতে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের নিয়োগপ্রাপ্ত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিচারক কর্তৃক স্থানান্তরিত মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
জেলা জজ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ করবে।
এই ধরনের বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার জেলা জজকে জেলার ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ক্ষমতা দিতে পারে।
ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত জেলা জজকে নিয়োগ করা যেতে পারে।
সরকার প্রয়োজনে এই ধারার অধীনে নিযুক্ত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কর্তৃক স্থানান্তরিত আপিলের শুনানির জন্য এক বা একাধিক অতিরিক্ত জেলা জজকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
প্রস্তাবিত আইনের উদ্দেশ্য অনুযায়ী মামলার জট দূরীকরণ এবং গণমানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস