বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী মার্চ মাসে ভারতের আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
রবিবার তার কার্যালয়ে ‘আদানি পাওয়ার থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই’ বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
ইউএনবি’র একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) আদানি গ্রুপের সঙ্গে সই করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সংশোধন করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
রিপোর্ট অনুসারে, আদানি পাওয়ার সম্প্রতি বিপিডিবি-কে ডিমান্ড নোট ইস্যু করার জন্য একটি অনুরোধ পাঠিয়েছে, যেখানে কয়লার দাম প্রতি মেট্রিক টন ৪০০ ডলার উদ্ধৃত করা হয়েছে, যাতে অনেক বেশি মূল্য ধরা হয়েছে। বিপিডিবি কর্মকর্তারাও মনে করেন বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে এটি অনেক বেশি।
নসরুল হামিদ বলেন, পায়রা পাওয়ার প্লান্টের মতো অন্যান্য কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের তুলনায় আদানির বিদ্যুতের শুল্ক প্রতিযোগিতামূলক হবে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আদানি বিদ্যুতের শুল্ক পায়রা প্ল্যান্টের বিদ্যুতের শুল্কের চেয়ে বেশি হবে না।’
তিনি আরও বলেন, মার্চে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট এবং চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
নসরুল হামিদ আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুত ঘাটতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
তিনি দাবি করেন, সেচ মৌসুম শুরুর আগেই রামপাল ও বরিশালসহ বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও বাড়ানো হবে যাতে মার্চ মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়।’
তিনি বলেন, নতুন স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এ বছর একের পর এক চালু হবে।
আরও পড়ুন: পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ল, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি