বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সরকারের মধ্যে 'বন্দী স্থানান্তর' সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিদের স্থানান্তর চুক্তির অনুসমর্থনের প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।
আজ সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'এগুলো হয়ে গেলে আমরা মালদ্বীপ বা কাতারে সাজাপ্রাপ্ত আমাদের বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সফর অত্যন্ত সফল ও ঐতিহাসিক: প্রেস সচিব
বর্তমানে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে 'সাজাপ্রাপ্তদের স্থানান্তর' সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।
২০১৫ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মালদ্বীপ থেকে 'বন্দি স্থানান্তর' সংক্রান্ত একটি খসড়া চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রস্তাবিত চুক্তি সই হলে বাংলাদেশ মালদ্বীপ থেকে সাজাপ্রাপ্ত ও কারাবন্দি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।
চুক্তিটি ১০ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে এবং দুই দেশ সম্মত হলে এটি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যেতে পারে।
উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিদের স্থানান্তর চুক্তির অনুসমর্থনের প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।
চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল কাতার আমিরের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।
চুক্তিটি এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে এবং যদি কোনও অংশ এটি শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ না করে তবে এটি আরও এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের