মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখেরও বেশি। আধুনিক, প্রগতিশীল ও বহুসংস্কৃতির গতিশীল জীবনধারার দেশটি এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতি বছর ১৪০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীদের এখানে জমায়েত হওয়ার কারণ হলো সাধ্যের মধ্যে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুবিধা। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়াতে উচ্চশিক্ষার উপায়, যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও খরচ নিয়েই আজকের আয়োজন।
মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর সংখ্যক প্রোগ্রাম অফার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় এই প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তির যোগ্যতা। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যে সাধারণ যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হয় তা হলো-
- স্নাতকের জন্য কমপক্ষে ১২ বছরের একাডেমিক সময়
- এসএসসি/এইচএসসি/ও-লেভেল/এ-লেভেল-এ সিজিপিএ ৫ এর মধ্যে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫০ (স্নাতক প্রোগ্রামগুলোর জন্য)
- সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ন্যূনতম ২ দশমিক ৫-সহ একটি স্নাতক ডিগ্রি (স্নাতকোত্তরের জন্য)
- আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ (প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নির্ভর করে স্কোর পরিবর্তন হতে পারে)
কিছু প্রোগ্রামের জন্য জিআরই বা জিম্যাট স্কোরও প্রয়োজন হতে পারে।
আরো পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সসমূহ
অল্প খরচে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো দেশটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হচ্ছে-
- ইউনিভার্সিটি মালায়া (ইউএম)
- ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া (ইউটিএম)
- ইউনিভার্সিটি পুত্র মালয়েশিয়া (ইউপিএম)
- আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া (আইআইইউএম)
- ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়া (ইউএসএম)
আরো পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
সাধারণত যে বিষয়গুলোয় উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া জনপ্রিয়-
- এমবিএ
- কম্পিউটার সায়েন্স-এ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স
- ডেটা সায়েন্স-এ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স
- মেডিসিন ও হেলথ কেয়ার-এ ব্যাচেলরস ও মাস্টার্স
- ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স-এ ব্যাচেলরস ও মাস্টার্স
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয়ের জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেঁছে নিতে পারে।
মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার খরচ
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের ভিত্তিতে সাড়ে তিন থেকে চার বছরের স্নাতক অধ্যায়নে খরচ পড়তে পারে ৯ হাজার ৬০০ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত। বাংলাদেশি টাকায় এটি প্রায় দুই লাখ আট হাজার ৬৫৯ থেকে ২৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৬ টাকার মধ্যে।
আরো পড়ুন: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটে তথ্য সংশোধনের নিয়ম
আর এক থেকে দুই বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে খরচ হতে পারে সাত হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার ৭০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৬৩ হাজার ১৫ থেকে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৯।
মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের জন্য আবেদন
শুরুতেই যে কাজটি করতে হয়, তা হচ্ছে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পছন্দের বিষয়ে পড়ার জন্য আবেদন করা। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত দুই সময়ে আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে:
- জুন; যেখানে আবেদনের সময়সীমা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
- নভেম্বর; যেখানে আবেদনের সময়সীমা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
এ সময়গুলোতে প্রথমেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত করতে হয়। এগুলো সাধারণত একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকম হয়। তন্মধ্যে একদম মৌলিক কতগুলো নথিপত্রের একটি তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পূরণকৃত আবেদনপত্র
- হাই স্কুল সার্টিফিকেট (স্নাতকের জন্য)
- ব্যাচেলর সার্টিফিকেট (মাস্টার্সের জন্য)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বৈধ পাসপোর্ট
- মোটিভেশন লেটার
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট (আইইএলটিএস অথবা টোয়েফল)
- আবেদন ফি প্রদানের প্রমাণপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
আরো পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর করণীয়
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩৫/৪৫ মিলিমিটার)
- ১৮ মাস মেয়াদ থাকা পাসপোর্টের প্রথম কয়েকটি পৃষ্ঠা (যেখানে পাসপোর্টধারীর ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য আছে) এবং ভিসার সীলযুক্ত পৃষ্ঠাগুলো(যদি থাকে)
- মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়নের গ্রহণযোগ্যতা/অফার চিঠি
- মেডিকেল রিপোর্ট
- সার্টিফিকেটসহ সমস্ত একাডেমিক রেকর্ডের কপি
- ৭৫০ মালয়েশিয়ান রিংগিত (১৬ হাজার ৩০২ বাংলাদেশি টাকা) এর ব্যক্তিগত বন্ড। এটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর অধ্যয়ন শেষে ফেরত দেয়া হবে এই শর্তে যে, তিনি মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের কোনও বিধান লঙ্ঘন করা হয়নি।
- ইংরেজি ভাষাদক্ষতা সার্টিফিকেট (আইইএলটিএস/টোয়েফল)।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্টুন্ডেন্ট পাসের জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি অনুমোদনপত্র
- মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত কভার লেটার; যেখানে শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করার জন্য আবেদনের কথা উল্লেখ থাকবে
- পড়াশোনার খরচ ও জীবনযাত্রার খরচের জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের প্রমাণপত্র
- শিক্ষার্থী যে দেশ থেকে যাচ্ছেন, সে দেশ থেকে প্রদানকৃত মালয়েশিয়া ভিসার অনুমোদনপত্র প্রাপ্তির পূর্ববর্তী বা প্রি-ভিএএল মেডিকেল রিপোর্ট। অবশ্য শিক্ষার্থী চাইলে মালয়েশিয়ায় যেয়েও তাদের নিবন্ধিত ক্লিনিকে প্রি-ভিএএল মেডিকেল স্ক্রীনিং করাতে পারেন। পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের প্রি-ভিএএল মেডিকেল স্ক্রীনিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলীর জন্য তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ায় আসার আগে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী ইএমজিএস(এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিস)-এর মাধ্যমে অনলাইনে ভিসার আবেদন শুরু করতে পারেন। এছাড়া তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি বা ইএমজিএসের এজেন্টের মাধ্যমেও এই আবেদন করতে পারেন।
ইএমজিএস হল মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অংশ, যা মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইএমজিএস মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানে ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করে।
আবেদনের সময় সমস্ত নথি ক্রমানুসারে আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। যথাসম্ভব সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারিকে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করতে হয়, যেটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়।
আরো পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
আবেদনপত্র জমা দেয়ার তারিখ থেকে ১৪ কার্যদিবস পর প্রদান করা হয় ভিসা অনুমোদন পত্র প্রদান বা ভিএএল। প্রক্রিয়াধীন সময়টিতে শিক্ষার্থীরা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থাটিও জেনে নিতে পারেন। তবে মালয়েশিয়ায় অভিবাসনের সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ই-ভিসার প্রয়োজন হবে। তারা খুব সহজেই ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, যা মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়াতে পৌছার পর করণীয়
মালয়েশিয়াতে পৌছার পর প্রথমে মাসেই কিছু কাজ জরুরি ভাবে করে নিতে হবে। প্রথম ৭ দিনের মধ্যে যেকোন ইএমজিএস-নিবন্ধিত ক্লিনিকে মেডিকেল স্ক্রীনিং করে নিতে হবে। আবাসনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষাগত নথিগুলো সঠিকভাবে রয়েছে তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইএমজিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্টুডেন্ট পাস (পাসপোর্টে স্টিকার) এবং আই-ক্যাড (বিদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র) সংগ্রহ করে নিতে হবে। স্টুডেন্ট পাস মুলত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসপোর্টে একটি স্টিকার সংযুক্ত করে দিবে। আর আই-ক্যাড হলো মালয়েশিয়ার বহিরাগত শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে তাদের মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধতা নিশ্চিত হয়।
আরো পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
মালয়েশিয়াতে জীবনযাত্রার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা
প্রতিটি মানুষের খরচগুলো মুলত তার ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার উপর নির্ভর করে। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়- স্থানীয় গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি কতটুকু মানিয়ে চলতে পারছেন। মালয়েশিয়ায় থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, মেডিকেল, মোবাইল ও ইন্টারনেট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট; সব মিলিয়ে প্রায় ১৭০ থেকে ১৮০ মার্কিন ডলার (১৭ দশমিক ৩৬৯ থেকে ১৮ দশমিক ৩৯১ বাংলাদেশি টাকা) খরচ হতে পারে।
মালয়েশিয়াতে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরির সুযোগ
মালয়েশিয়াতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার বিরতি বা সপ্তাহান্তের ছুটির দিনগুলো মিলিয়ে সর্বাধিক ২০ ঘন্টা খণ্ডকালীন কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়। এর সঙ্গে অবশ্য তাদের স্টুডেন্ট পাসের বৈধতার সময়ও জড়িত।
পার্ট-টাইম কাজের জন্য আবেদনগুলো অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে হয়। তবে উত্তম হল ক্যাম্পাসেই কাজ খোঁজার চেষ্টা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, ক্যাফে বা অফিসের অভ্যর্থনা প্রায়ই বিভিন্ন কাজের সুযোগ দেয়, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরী করতে বেশ সুবিধা হয়।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
মালয়েশিয়াতে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপের সুবিধা
মালয়েশিয়ার বাইরের থাকা আসা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ পুষিয়ে নেয়া জন্য আছে ঋণ, টিউশন ফি মওকুফ, শিক্ষা তহবিল, বার্সারি এবং অনুদানের ব্যবস্থা। জনপ্রিয় স্কলারশিপগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া সরকারি স্কলারশিপ, মালয়েশিয়া কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ফেলোশিপ প্ল্যান এবং মালয়েশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ অন্যতম।
তাছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বৃত্তি, অনুদান এবং টিউশন মওকুফের কার্যক্রম চালু আছে।
মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ
মালয়েশিয়ার বিদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের প্রথম ধাপ হল প্রথমেই একটি চাকরির ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্মচারির পক্ষ থেকে তার ওয়ার্ক পারমিটের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এটি ইমপ্লয়মেন্ট পাস নামেও পরিচিত, যার মেয়াদ থাকে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর। এছাড়া ওয়ার্ক পারমিটের আবেদনের সময় পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১৮ মাস থাকা বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
পরিশিষ্ট
উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর নিহিত আছে সম্ভাবনাময় জীবনের হাতছানি ও কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ার অর্জনের প্রক্রিয়া। রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরকে শিক্ষার্থীরা সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রাখেন। কিন্তু অবাক ব্যাপার হচ্ছে এই কম খরচেই পাওয়া যায় উচ্চমানের জীবনযাত্রা। মালয়েশিয়াতে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন দেশটির প্রাণবন্ত সংস্কৃতি।
তাছাড়া মালয়েশিয়ায় পড়ার খরচ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রায় সমান। সাধ্যের মধ্যে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা ও একটি বিদেশি ডিগ্রি অর্জনের জন্য মালয়েশিয়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের গন্তব্যস্থলগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকের আলোচনায় মালয়েশিয়াতে উচ্চশিক্ষার উপায়, আবেদন পদ্ধতি ও খরচ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণে দেয়া হয়েছে।