ঢাকার মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
আহতরা হলেন- আল আমিন (১৭) ও ঝুমা আক্তার (১৫)। আল আমিনের পিঠে ও ঝুমার ডান পায়ে গুলি লাগে।
বিক্ষোভে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বৃহস্পতিবারও সকালে ৪ হাজার থেকে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক কচুক্ষেত এলাকায় জড়ো হন।
ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নিতে রাজি হওয়ার পরও শ্রমিকরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ ও সামরিক বাহিনী চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। এরপর পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দুই পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।
আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যস্ত কচুক্ষেত এলাকা ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিণত হয়। সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির আগুন নেভাতে দুটি ইউনিট দ্রুত পৌঁছায়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যায় এবং তারা সামরিক গাড়ি ও পুলিশ পরিবহনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অবশেষে সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষ প্রশমিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং এলাকাটি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন