মরে যাওয়া সেই খর্বাকৃতির রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানি।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকার শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিইও মো. আবু সুফিয়ান গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতির তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান।
আবু সুফিয়ান বলেন, তাদের (গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ) কাছে আমরা রানির পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি-না? কিন্তু এ ধরনের কোন কিছু তারা রিপোর্টে পায়নি। তিন দিন আগে তারা রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রসেসের কারণে বিলম্বে আমাদের ই-মেইল করেছে সোমবার।
পড়ুন: পেট ফুটো হয়ে সেই ‘রানী’র মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘রানি আমাদের সবার অনেক আদরের ছিল। প্রাণি হলেও রানিকে আমরা পরিবারের একজন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে যখন রানির নাম উঠতে আর কিছুদিন বাকি, তখন আমরা ওকে হারিয়েছি। রানির মৃত্যু কোনভাবেই ওই সময় মেনে নিতে পারিনি আমরা। তবে অবশেষে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রসিডিউর অনুযায়ী রানিকে বিশ্বের সবচাইতে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দিত। রানি বেঁচে থাকলে এই আনন্দের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যেতো।’
উল্লেখ্য, শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ফার্মের বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির ওজন ছিল ২৬ কেজি, আর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি, এর দুটি দাঁতও ছিল। গরুটির বয়স হয়েছিল দুই বছর। গিনেস বুকে এর আগের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। চার বছর বয়সী ওই গরুর উচ্চতা ছিল ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ২৬ কেজি। এদিক থেকে রানিই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু।