নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে প্রথম নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রথম নির্বাচনে শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ ও ২০২২ সালে তিনি ফের নাসিক সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
দুদকের উপপরিচালক বলেন, ‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেন। এই আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আইভীর নিজ নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে রয়েছে চার থেকে পাঁচটি ফ্ল্যাট। তার ব্যক্তিগত সহকারী আরিফ হোসেনকে সংশ্লিষ্ট পদে পদায়ন না করে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করা হয়। আইভীর গাড়ি চালকের নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বরফ কল এবং পানির কল এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মেয়র আইভীর তার অনুসারিদের নাম মাত্র মূল্যে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত বহুতল বভনের ফ্লাট বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।’
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন আইভীর দুই ভাই আলী রেজা রিপন এবং আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল।
নারায়ণগঞ্জে সাততলা বিশিষ্ট এক বিশাল বাড়ি, নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী চিত্ত বিনোদন ক্লাব ভেঙে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ করেন আইভী। বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণসহ আইভীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও পেয়েছে দুদক।