জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মেটাতে যথাসময়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড বিতরণ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এর আগে সব দেশকে কপ২৯-এ এই ফান্ড কার্যকর করার উপায় বের করতে হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৭ জুলাই) আজারবাইজানে দুদিনব্যাপী হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রামের সমাপনী অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি নতুন জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য চূড়ান্ত করার, আর্টিকেল ৬ কার্বন মার্কেটের নিয়মগুলো সম্পন্ন করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সহজলভ্য ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কেবল একটি হুমকি নয় বরং একটি মানুষের অস্তিত্বগত চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন স্বল্পোন্নত দেশে এই চ্যালেঞ্জ এরই মধ্যে অনুভূত হচ্ছে।
গুরুতর এবং বিস্তৃত প্রভাবগুলোর ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই প্রতিকূল প্রভাবগুলো অনেক দীর্ঘতর চ্যালেঞ্জের শুধুমাত্র শুরু।
সাবের চৌধুরী উল্লেখ করেন যে বিশ্ব ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি পরবর্তী জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানগুলোকে (এনডিসি) ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার আহ্বান জানান এবং এনডিসি বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্ট সহায়তা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বাস গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী কপ২৯ এই প্রক্রিয়ার জন্য একটি পরীক্ষা যেখানে ব্যর্থতার সুযোগ নেই।
এর আগে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) প্রতিনিধিত্ব করতে কপ২৯ আজারবাইজান প্রেসিডেন্সি মনোনীত মন্ত্রী মুখতার বাবায়েভ পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর