রংপুর অঞ্চলে সংরক্ষিত ১০ হাজার ৭৫৯টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মধ্যে ছয় হাজার ৩৫ টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ত্রুটি পাওয়া গেছে।
২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রকল্পের কর্মকর্তারা তাদের মূল্যায়ন শেষে নির্বাচন কমিশনকে এ তথ্য জানান।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে, নির্বাচন কমিশন প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল। কমিশন বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহারের পর সারাদেশে তার আঞ্চলিক অফিসে ইভিএম সংরক্ষণ করে।
রংপুরে ইভিএম মনিটরিংয়ের পর প্রকল্প কর্মকর্তারা চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানান।
চিঠিতে জানানো হয়, অধিকাংশ ইভিএমই উইপোকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। অযত্ন ও অবহেলায় অকেজো হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ স্পর্শকাতর ইভিএম যন্ত্রপাতি।
রংপুর সিটি নির্বাচনে ২৭ ডিসেম্বর ভোটগ্রহনের জন্য ঢাকা থেকে ইভিএম পাঠানো হচ্ছে। কারণ সেখানকার যন্ত্রপাতি মেরামত না করে ব্যবহার করা যাবে না।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষিত ইভিএম সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
ওই চিঠিতে অতি সংবেদনশীল ইভিএম সংরক্ষণে আরও ৮টি সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রার্থীরা ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং অফিসাররা ২৯ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন। রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত তারিখ ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারেরও সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল বাতেন।
রংপুরের মেয়র, ৩৩ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৯৩টি কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার তাদের ভোট দিবেন।