আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কর অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিষ্ঠানটি।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ন্যূনতম ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ শতাংশ কমিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চালের আমদানি শুল্ক ও কর কমানো হয়েছে ৪৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। বিদ্যমান শুল্ক কর ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে।
সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে কমানো এই কর প্রযোজ্য হবে। তবে ভর্তুকি মূল্যে চাল আমদানির আগে প্রতিটি চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। কর কমানোর সুবিধা বলবৎ থাকবে চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত।
অন্যদিকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে, যা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
চিনি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন শুল্কের নির্ধারিত হার দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। এনবিআরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা কার্যকর থাকবে।
এছাড়া খেজুরের আমদানি শুল্ক ৫৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে ১০ শতাংশ। যা আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের কর মওকুফ হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে এসব পণ্যের সরবরাহ যেন কমে না যায়।
গত ২২ জানুয়ারি চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমাতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ