পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত ১৭ বছরের ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রেমিক এবং আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরের একটি হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা: প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
পুলিশ জানায়, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ভুক্তভোগীকে অভিযুক্তের কলাবাগানের একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে তারা শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত ঘোষণা পর চিকিৎসকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (রমনা বিভাগ) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনো তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানতে পারব। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় খালাতো ভাই গ্রেপ্তার
কম্বল দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এখন ওই ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
এর আগে, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের অধিবেশন না থাকায় গত ১৩ অক্টোবর ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের দায়ে মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার
৯৯৯ নম্বরে ফোন: ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩
বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল।