রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলো থেকে দেয়াল লিখন ও পোস্টার আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটা মনিটরিং টিম করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে টিম ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ করবে।
রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালত তার রুলে, ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এডভোকেট মো. সরওয়ার আহাদ ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ই গত বৃহস্পতিবার রিটটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ‘নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্ট লাগানো যাবে না।
আইনে বলা হয়েছে, ‘কোনও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগাবার জন্য প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা স্থান নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে এবং উক্তরূপে নির্ধারিত স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাইবে। তবে শর্ত থাকে যে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, উল্লিখিত নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে এবং নির্দিষ্ট ফি প্রদান সাপেক্ষে দেওয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাইবে। কোনও ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করিলে এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: হাইকোর্ট