নিহত লিজা রহমান (১৮) রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার শাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, মেয়েটি সকাল সাড়ে ৭টায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।
এদিকে লিজার সহপাঠীরা জানান, লিজা ও সাখাওয়াত চলতি বছরে শুরুর দিকে প্রেম করে বিয়ে করেন। সাখাওয়াত রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বিয়ের পরে কিছুদিন স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকলেও পরে কলহ দেখা দেয়।
অপরদিকে পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় সাখাওয়াত লিজাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেননি। একপর্যায়ে সাখাওয়াত স্ত্রী লিজার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
গত জুলাইয়ে লিজা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে স্বামীর বাড়িতে গেলে সাখাওয়াত বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে লিজা নাচোল থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ সাখাওয়াত ও তার বাবাকে ডেকে এনে তাদের সঙ্গে লিজাকে পাঠিয়ে দেন। এরপর তারা কয়েকদিন একসঙ্গে থাকার পর সাখাওয়াত রাজশাহীতে ফিরে আবারও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
স্বামীর সাথে এমন বিরোধের এক পর্যায়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন লিজা।চিকিৎসার জন্য তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়।