বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় নুসরাতের মা বলেন, ‘প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক খুশি।’
মিডিয়া ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি চাই, অতি দ্রুত যেন রায়টা কার্যকর হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও আমাদের পাশে ছিল এখনও আমাদের পাশে থাকবেন। তিনি আমাদের বলছে যে নুসরাত হত্যার কেউ ছাড় পাবে না, আমি তার জন্য মন থেকে অনেক দোয়া করি। এছাড়া প্রশাসন, আইনের লোকের পাশাপাশি মিডিয়ার যতজন আমার মেয়ের জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছে, আমি তাদের জন্য দোয়া করি, ধন্যবাদ জানাই।’
প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়। পরে ৬ এপ্রিল মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা কৌশলে পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলে মৃত্যুশয্যায় বলে গেছেন নুসরাত। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে সে মারা যায়।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।