রবিবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হত্যা মামলার এ আসামিরা।
আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রাপ্তবয়স্ক একজনকে কারাগারে এবং তিন কিশোর অপরাধীকে যশোর শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে গঠিত অভিযোগপত্রের তিন নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাতের (১৯) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অপর তিন কিশোর অভিযুক্তদের জামিন আবেদন শিশু আদালতে পাঠান।
শিশু আদালতে পাঠানো তিন কিশোর হলো- দুই নম্বর আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), তিন নম্বর আসামি আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬) এবং ১২ নম্বর আসামি প্রিন্স মোল্লা (১৫)।
আদালতে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি শেষে নারী ও শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, রিফাত হত্যা মামলার পলাতক আট অভিযুক্তের মধ্যে চারজন রবিবার সকালে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে ৩ অক্টোবর বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ মামলার পলাতক আট আসামির মালামাল জব্দের নির্দেশ দেন।
এ মামলার চার অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন, প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে গঠিত অভিযোগপত্রের ছয় নম্বর আসামি মো. মুসা (২২), অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় নম্বর আসামি মো. নাইম (১৭), নয় নম্বর আসামি মো. রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫) এবং ১০ নম্বর আসামি মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহ (১৭)।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলায় মিন্নি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।